প্রতারণার মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন চিত্রনায়ক এম এ জলিলসহ (অনন্ত জলিল) ছয়জন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্লাহ আজ রোববার এ আদেশ দেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রতারণার অভিযোগে অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী শাহনাওয়াজ চৌধুরী লিখিতভাবে মামলা প্রত্যাহারের আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। তাতে বলা হয়, মামলার অভিযোগের বিষয়ে অন্তত জলিলসহ অন্যদের সঙ্গে তাঁর (বাদী) আপস হয়েছে। এ জন্য তিনি মামলা প্রত্যাহার চান। আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দেন। এর ফলে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন অনন্ত জলিলসহ ছয়জন।

খালাস পাওয়া অন্য পাঁচজন হলেন পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহানারা বেগম, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (ফাইন্যান্স) শরীফ হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার মিলন ও বাজেট অ্যান্ড অডিট ডিপার্টমেন্টের হেড অব কস্ট সাইদুল ইসলাম।

পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার পরও টাকা বুঝিয়ে না দেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন শাহনাওয়াজ চৌধুরী। মামলায় শাহনাওয়াজ দাবি করেন, তিনি মেসার্স স্টিচ অ্যান্ড কালার টেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাঁর প্রতিষ্ঠান উন্নত মেশিনারিজের মাধ্যমে এমব্রয়ডারি ও জামাকাপড় প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা করে। অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠান ওই প্রতিষ্ঠানকে ৯৮ হাজার ৬১০টি শার্টের কাটিং পার্ট রং করার কার্যাদেশ দেয়। পুরো কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পরও অর্থ পরিশোধ করা হয়নি।

প্রতারণার মামলায় পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান অনন্ত জলিলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ২৩ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদীর প্রতিষ্ঠান অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধের জন্য বারবার চিঠি দেয়। পরে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনন্ত জলিলের প্রতিষ্ঠান এর কোনো জবাব দেয়নি। এমনকি বাদীর প্রতিষ্ঠানের পাওনা ২৯ হাজার ২৯৯ ডলার পরিশোধ করেনি।

আরও পড়ুনপ্রতারণার মামলা: অনন্ত জলিলকে আদালতে হাজির হতে সমন৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তখন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানকে পোশাকের এই কাজটি দিয়েছিল সিল্ক রুট সোর্সিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পুরো কাজ শেষ হলে পণ্যগুলো তাদের নেওয়ার কথা। ওই প্রতিষ্ঠান থেকেই কাপড় রং করার জন্য মেসার্স স্টিচ অ্যান্ড কালার টেকনোলজিকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সিল্ক রুট সোর্সিং প্রতিষ্ঠানটি তার ফরমাশ দেওয়া সব মাল এখনো নেয়নি। সে কারণে বিল না পাওয়ায় তাঁরা মেসার্স স্টিচ অ্যান্ড কালার টেকনোলজির পাওনা পরিশোধ করতে পারেননি। বিল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অর্থ পরিশোধ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হারল্যানের প্রসাধনী ও স্কিন কেয়ার পণ্য কিনে স্কুটি পেলেন ছয়জন

এবারের ঈদে ‘হারল্যান ঈদের খুশি, নতুন স্কুটিতে হবে বেশি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন বা বিক্রয় কার্যক্রম বেশ সাড়া ফেলেছে। দেশজুড়ে দেড় শতাধিক হারল্যান স্টোর আউটলেট, হারল্যান স্টোর ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট ও herlan.com ওয়েবসাইটে এ ক্যাম্পেইন চলে। এর আওতায় হারল্যান স্টোর থেকে কসমেটিকস, তথা প্রসাধনী ও স্কিন কেয়ার বা ত্বক পরিচর্যার পণ‌্য কিনে এখন পর্যন্ত ছয়জন স্কুটি জিতেছেন। এ ছাড়া লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার জিতেছেন ক্রেতারা।

হারল্যান ব্র্যান্ডশপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. গিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘বাজারে প্রচুর মানহীন ও ভেজাল পণ‌্য রয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আমরা মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা বিবেচনায় স্টোরগুলোতে নামীদামি ব্র্যান্ডের মানসম্পন্ন পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। ফলে আমাদের শপগুলোতে প্রতিনিয়ত উপচে পড়া ভিড় হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশব্যাপী হারল্যানের রিটেইল আউটলেটগুলোয় গত ঈদের তুলনায় এবার বিক্রি প্রায় ৫০০ শতাংশ বেশি হয়েছে। হারল্যান স্টোরে এখন দেশি-বিদেশি ১৬টির বেশি ব্র্যান্ডের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।’

হারল্যান জানায়, রাজধানীর গুলশান পিংক সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, উত্তরার জসীমউদ্‌দীন, বেইলি রোডের আউটলেটগুলোয় ব‌্যাপক ভিড় হয়েছে। বিশেষ করে ঈদের আগে ক্রেতারা বেশ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে স্কিন অ্যানালাইজার মেশিন ব‌্যবহার করে পণ‌্য বাছাই করেছেন। স্টোরগুলোয় ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ছিল লিপস্টিক, আইলাইনার, পাউডার, ফাউন্ডেশন, লিপগ্লস, আইশেড কালার কসমেটিকস ইত্যাদি। এ ছাড়া ফেস ও হেয়ার সিরাম এবং ফেসওয়াশ প্রভৃতি ভালো বিক্রি হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হারল্যানের প্রসাধনী ও স্কিন কেয়ার পণ্য কিনে স্কুটি পেলেন ছয়জন