ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হল থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
Published: 23rd, February 2025 GMT
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাসে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনার ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থীকে ছাত্রবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচ শিক্ষার্থীর কাছে মুচলেকা চাওয়া হয়েছে। আজ রাত সাড়ে ৯টায় কলেজের ওয়েবসাইটে অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি উদ্ভূত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে রোববার অনুষ্ঠিত কলেজের প্রশাসনিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পারিজাত মহাজন, জয় বিশ্বাস, রিদ্ধি বড়ুয়া, আকতাব কাদির ও তার ভাই আকসাদ কাদির, রাকিবুল ইসলাম, এস এম শামারুখ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এইচ এম জাহিন মাহমুদ, মো.
এ ছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল বাসেত, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোকারম হোসেনকে কেন শান্তি প্রদান করা হবে না, তার উপযুক্ত জবাব ও মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া এর আগে হল থেকে বহিষ্কৃত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মানিক সাহা, রাকিবুল হাসান ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেরাব উদ্দিন চৌধুরীকে হল থেকে বহিষ্কার করা সত্ত্বেও হলে অবস্থান করছে, যা গুরুতর অপরাধ। কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, নিজ নিজ অভিভাবকসহ সশরীর উপস্থিত হয়ে যথোপযুক্ত জবাব ও মুচলেকা দিতে বলা হলো।
আরও পড়ুনময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাস থেকে দেশি অস্ত্র উদ্ধার, জমা পড়েছে তদন্ত প্রতিবেদন২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এর আগে রোববার বিকেলে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নগরের রহমতপুর বাইপাস এলাকায় ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তিনটি বিভাগে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছেন। গত সোমবার বিকেলে কলেজের ছাত্রাবাসে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর জেরে রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীদেরও হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কলেজ প্রশাসন।
পরদিন একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাউন্সিলের সভায় পুরো ঘটনা ও অভিযোগের বিষয় তদন্তে জেনারেল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কমিটি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। গত বুধবার সন্ধ্যার পর ছাত্রাবাস থেকে রামদা ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে আজ রাতে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের উত্তেজনা, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর ষ র শ ক ষ র থ ল ইসল ম কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীদের প্রার্থনা
ময়মনসিংহের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা বন্ধের জন্য প্রার্থনা করেছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে নগরীর আবুল মনসুর সড়কে রোভার ভবনে জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায়’ অংশ নেওয়া অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আয়োজক ও অতিথিবর্গের সাথে এ দোয়ায় অংশ নেয়।
এ সময় একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যার শিকার ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন ও পৃথিবীতে চলমান সকল যুদ্ধ, গণহত্যা বন্ধ ও বিশ্বশান্তি কামনা করে তারা।
ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল নিয়ে গঠিত মুক্তিযুদ্ধকালীন ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমানের অধীনে লড়াই করা মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল একাত্তরের গণহত্যা ও ময়মনসিংহে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কবির হোসেন সরদার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে জেলা পরিষদে এ ধরনের আয়োজন করতে তথ্য অফিসকে স্বাগত জানান।
ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অভ ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার নির্বাহী পরিচালক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার ছোট ভাই বিবেশ চন্দ্র রায় তার একাডেমির পক্ষ থেকে সভায় জহির রায়হানের বিখ্যাত প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ প্রদর্শন করেন।
তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদের সঞ্চালনায় সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ মো. শহীদুল ইসলাম, ফুলবাড়িয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও জেলা রোভার স্কাউটের সহকারী কমিশনার লিয়া আফরোজ, তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক আফসানা ফেরদৌস মিষ্টি আলোচনা সভায় অংশ নেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ