বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতিনিধি সভা
Published: 23rd, February 2025 GMT
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পেশাগত বৈষম্য নিরসনসহ সব যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায়ে রবিবার (২৩ ফেব্রয়ারি) এক প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বিগত পতিত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের দোসর ও মদদপুষ্ট ডিপ্রকৌস কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ব্যর্থতা ও ঠিকমত ফাংশনাল না হয়ে সদস্য প্রকৌশলীদের বোর্ড হতে কাঙ্খিত স্বার্থ ও ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা ডিপ্রকৌস কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ওপর অনাস্থা পোষন করে। একই সঙ্গে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পেশাগত বৈষম্য নিরসনসহ বিদ্যুৎ সেক্টরকে সংস্কার করে ঢেলে সাজাতে অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় ডিপ্রকৌস কমিটি গঠনের প্রস্তাব পেশ করে।
সভায় বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করা হয়-
১.
২. অন্যান্য পদের ন্যায় সহকারী-প্রকৌশলী পদে ভারপ্রাপ্ত পদোন্নতি প্রদান।
৩. উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর পদ বিলুপ্তকরণসহ স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ/পদোন্নতি প্রদান। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর একই জব ডেসক্রিপশন হওয়ার পরও শুধুমাত্র ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদোন্নতি বঞ্চিত করার লক্ষ্যে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী পদ সৃষ্টি করা হয় যা ১৯৮২ সার্ভিস রুল বহির্ভূত।
৪. অন্যান্য ক্যাডার দের ন্যায় উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের উচ্চতর স্কেল/গ্রেড প্রদান করণ।
৫. ডিপিসিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী থেকে প্রতিনিধি রাখা।
৬. আন্তর্জাতিক ইঞ্জিনিয়ারিং টিম কনসেপ্ট অনুযায়ী সেট-আপ ১:৫:২৫ প্রণয়নসহ বিউবোর সব টেকনিক্যাল দপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর পদ নিশ্চিত করণ।(বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী তদূর্ধ্ব পদে সেট-আপ ঠিক রেখে শুধুমাত্র ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদ বঞ্চিত করে আসছে)।
৭. দেশীয় লিয়েন, ইন্সপেকশনসহ বৈদেশিক প্রশিক্ষণে বৈষম্যহীনদৃষ্টিতে উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী তদূর্ধ্ব পদের কর্মকর্তারা উক্ত সুযোগ সুবিধা প্রতিনিয়ত ভোগ করেন)।
ঢাকা/হাসান/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো গাত্তি আর নেই
আর্জেন্টিনার ইতিহাসখ্যাত গোলরক্ষক হুগো ওরল্যান্ডো গাত্তি আর নেই। স্থানীয় সময় রবিবার (২০ এপ্রিল) ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ফুটবল কিংবদন্তি। লাতিন আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন গাত্তি। কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতির বদলে নতুন করে দেখা দেয় নিউমোনিয়া, কিডনি জটিলতা ও হৃদরোগ। এসব জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত তার পরিবার তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
‘এল লোকো’ নামে পরিচিত গাত্তি ছিলেন একেবারে আলাদা ঘরানার গোলরক্ষক। সাহসী, উদ্ভট এবং অনেক সময় অপ্রচলিত কৌশলে খেলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতেন তিনি। আর্জেন্টাইন লিগে সর্বোচ্চ ৭৬৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আজও তার দখলে। ২৬ বছরের দীর্ঘ পেশাদার ক্যারিয়ারে (১৯৬২–১৯৮৮) তিনি বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। যার মধ্যে বোকা জুনিয়র্সের হয়ে ১৯৭৭ সালে জিতেছেন কোপা লিবার্তাদোরেস।
আরো পড়ুন:
হামজা ও শমিতের পর লাল-সবুজের জার্সি পরতে যাচ্ছেন সান্ডারল্যান্ডের মিচেল
বার্সেলোনার রোমাঞ্চকর জয়ের পর অস্বস্তির চোট সংবাদ
অনেক ফুটবল বিশ্লেষকের মতে, আজকের ‘সুইপার কিপার’ কনসেপ্ট— যেখানে গোলরক্ষক গোলপোস্ট ছেড়ে খেলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন— এর শুরুটা গাত্তির হাত ধরেই হয়েছিল। তার সেই সময়ের সাহসী খেলার ধরণ আধুনিক ফুটবলের জন্য ছিল এক নতুন ধারা।
১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম শিরোপা জয়ের দলে মূল গোলরক্ষক হিসেবে তার জায়গা নিশ্চিত থাকলেও হাঁটুর চোটের কারণে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
গাত্তি ছিলেন শুধু একজন ফুটবলার নন— তিনি ছিলেন একজন স্পষ্টভাষী ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। একবার তিনি দিয়েগো মারাডোনাকে ঠাট্টা করে 'গর্ডিতো' (মোটা) বলেন। এর জবাবে পরের ম্যাচে মারাডোনা তার বিপক্ষে চারটি গোল করে দেন। এমন অনেক ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন গাত্তি, যা তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে।
তার মৃত্যুতে বিশ্ব ফুটবল হারিয়েছে এক সাহসী, বৈচিত্র্যময় ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে, যিনি যুগ গড়েছেন নিজের মতো করে।
ঢাকা/আমিনুল