সাভারে সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭
Published: 23rd, February 2025 GMT
সাভারের হেমায়েতপুরে সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হেমায়েতপুরের নালিয়াসুর এলাকার নবাব আলীর মালিকানাধীন একতলা বাড়িতে এ বিস্ফোরণ ঘটে। দগ্ধরা হলেন, মো.
প্রত্যক্ষদর্শী মো. আকাশ জানান, নালিয়াসুর নবাব আলীর বাড়ি এক তলার। সিলিন্ডারটি পুরনো ছিল। উনাদের বাসায় আসা আত্মীয়দের এগিয়ে দিতে গিয়েছিলেন তারা। দরজা লাগানো ছিল। এরমধ্যে গ্যাসের গন্ধ আসছিল। এ জন্য আশপাশের লোকজন তাদের কল দিয়ে বলেন, ঘর থেকে গ্যাসের গন্ধ আসছে। তখন তালা ভাঙতে গিয়ে স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুন লেগে যায়। আশপাশে থাকা সাতজনের শরীর পুড়ে যায়। এরমধ্যে বাড়িওয়ালার স্ত্রী, মেয়ে, তার শিশু ছেলে রয়েছে। তাদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরো পড়ুন:
জানুয়ারিতেও বাড়ছে না গ্যাসের দাম
পুরনো দামেই এলপি গ্যাস
এর আগে ভোরে আশুলিয়ার দুর্গাপুর এলাকায় সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
ঢাকা/সাব্বির/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতুতে সাত দিনে টোল আদায় ১৭ কোটি টাকা
ঈদযাত্রার সাত দিনে যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় করা হয়েছে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকা।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৪ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১২ হাজার ৯৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১২ হাজার যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা।
২৫ মার্চ ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৫ হাজার ৩৫৪টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৩ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।
২৬ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।
২৭ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৩৫ হাজার ২২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২০ হাজার ২৪১টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৪ হাজার ৯৮৬টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা।
২৮ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।
২৯ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২৯ হাজার ২৮৮টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৬ হাজার ১৯০টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা।
৩০ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৩১ হাজার ৪৬৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২১ হাজার ১২৬টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১০ হাজার ৩৩৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়কপথ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। রাজধানীর সঙ্গে সড়কপথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এ মহাসড়ক। এ সড়ক দিয়ে লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৪টি জেলার যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। প্রতি বছর অতিরিক্ত চাপে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে, এবার ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী চার লেন খুলে দেওয়ায় এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা চার লেনের সুবিধা পেয়েছেন। এবার যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছাতে পেরেছেন।
যমুনা সেতু টোল প্লাজার ম্যানেজার প্রবীর কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই পাশে দুটি করে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী চার লেন খুলে দেওয়ায় এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা চার লেনের সুবিধা পেয়েছেন। এর ফলে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছাতে পেরেছেন। যাত্রীরা স্বস্তিতে যেতে পারলে আমরাও স্বস্তিতে থাকি। এবার আমাদের প্রস্তুতি ছিল ব্যাপক। ঈদ-পরবর্তী সময়ের জন্যও আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করছি না।”
ঢাকা/কাওছার/রফিক