পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে জোড়া রেকর্ডের কীর্তি গড়েছেন বিরাট কোহলি। ক্রিকেট বিশ্বের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফক পেরিয়েছেন কোহলি। শচীন টেন্ডুলকার ও কুমার সাঙ্গাকারার পর এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন ভারতের মাস্টারব্লাস্টার। তবে তাদের দুজনের চেয়ে কম ইনিংস খেলে দ্রুততম ১৪ হাজার রানের রেকর্ড গড়েছেন কোহলি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৮৭তম ওয়ানডে ইনিংস খেলতে নেমেছিলেন কোহলি। ১৩ হাজার ৯৮৫ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন। রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর দ্রুত ব্যাটিংয়ে নেমে রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন কোহলি। সর্বপ্রথম টেন্ডুলকার ৩৫০ ইনিংসে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি এই রেকর্ড গড়েছিলেন ৩৭৮ ইনিংসে। কোহলির এলিট ক্লাবে প্রবেশ করতে লাগল ৬৩ কম ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০০ থেকে ৮০০০ রান পর্যন্ত সবগুলো রেকর্ডের মালিক কোহলি। ২০১৭ সালের জুনে ১৭৫ ইনিংসে ৮০০০ রান ছুঁয়েছিলেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। তার উপরে রয়েছেন কেবল কুমার সাঙ্গাকারা (১৪,২৩৪) ও টেন্ডুলকার (১৮,৪২৬)।
সাঙ্গাকারাকে ছাড়িয়ে যেতে কোহলির খুব একটা কষ্ট হবে না। কিন্তু টেন্ডুলকারের পাশে বসতে পারবেন কিনা সেটাই বিরাট প্রশ্নের। গত বিশ্বকাপে টেন্ডুলকারের ওয়ানডের রেকর্ড ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙেছেন কোহলি। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতে ৫০তম সেঞ্চুরি করেছিলেন। আজ তুলে নিলেন ৫১তম সেঞ্চুরি।
আরো পড়ুন:
‘তিনশর বেশি রান করার ক্ষমতা আছে শান্তদের’
উঁচু মূল্য লিটনের, ঝুলে আছে দলবদল প্রক্রিয়া
এদিকে এই ম্যাচে ভারতের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ারও রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। ওয়ানডেতে ১৫৮ ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেন আজহারউদ্দিনের ১৫৬ ক্যাচ। ক্যাচ সংখ্যায় তার উপরে আছেন রিকি পন্টিং (১৬০) ও মাহেলা জয়াবর্ধনে (২১৮)।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল ১৪ হ জ র ছ ন ক হল র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, হত্যার পর ঝলসানো হয় মুখ
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিখোঁজের পরদিন গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে মুখ ঝলসানো অবস্থায় শিশুটির বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীর বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায়। সে ছিল স্থানীয় একটি হেফজখানার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
স্বজনরা জানান, সোমবার পহেলা বৈশাখ বিকেলে দাদাবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশুটি। এর পর আর ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে চাটমোহরের হরিপুর এলাকায় ভুট্টাক্ষেতের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। এ সময় তার মুখে পোড়া ক্ষতচিহ্ন এবং পরনের প্যান্ট গলায় পেঁচানো ছিল।
পুলিশের ধারণা, ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার পর শিশুটির মুখ ঝলসে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, তার মুখ এসিড দিয়ে পোড়ানো হয়েছে।
চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, শিশুটির স্বজন লাশ দেখে পরিচয় শনাক্ত করেছেন। লাশ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এদিকে ফেনীতে থাইল্যান্ডের নাগরিক এক নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই নারীর করা মামলায় মোখসুদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে সোমবার গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মোখসুদুর ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের নোয়াবাদ মুসলিম মেম্বার ভূঁইয়াবাড়ির আব্দুর রবের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও থাইল্যান্ডের নাগরিক ওই নারী ২০২০ সাল থেকে হংকংয়ের একটি মুদি দোকানে ব্যবসা করেন। সেখানেই মোখসুদুরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এর পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে মোখসুদুর তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে মোখসুদুর বাংলাদেশে চলে এলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বিয়ের কথা বলা হলে গত বছরের ২২ মার্চ তিনি প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন। একইভাবে মোখসুদুর গত বছরের ১২ অক্টোবর আবার ওই নারীকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন।
সবশেষ ১৩ এপ্রিল ওই নারী বাংলাদেশে এসে মোখসুদুরের ফেনীর বাড়িতে গেলে তাঁকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন মোখসুদুর।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববারের এ ঘটনায় উলফাত মোল্লা নামে এক দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী একটি মহল ভুক্তভোগীর পরিবারকে আইনগত পদক্ষেপ না নিতে চাপ দেয় এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত উলফাতকে নিয়ে বাজারের সভাপতি কামরুল ইসলাম সাবু ও স্থানীয় মাতবর লাভলু, নাজির, তাইজেল, জাকির, বোরাকসহ ১০-১২ জন বাজারের মধ্যে সালিশ বৈঠকে বসেন। তারা সবার সম্মতিতে উলফাতকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগীর চাচা বলেন, ‘ওই বৈঠকে আমাদের ডাকা হয়নি। ইজ্জত তো চলেই গেছে; টাকা দিয়ে কী হবে?’ এ ব্যাপারে মাতবর নাজিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি সালিশ বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
লোহাগড়া থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, উলফাতকে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করা হয়। ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ না করায় তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হোসেন নামে এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত জানুয়ারি মাসে মেয়েটিকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে মোজাম্মেল। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে কলমাকান্দা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। এর পর মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ভাড়া বাসায় আলু তোলার কাজে নিয়োজিত নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে বাবু মোল্লা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বাবুকে মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-৪ এ তোলা হলে বিচারক নুসরাত শারমিন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাবু উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের শামসুল মোল্লার ছেলে। টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, ২০ মার্চ ধর্ষণের ঘটনার পর মামলা হলে বাবু পালিয়ে যায়।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি)