ড. ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূতের বৈঠক
Published: 23rd, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তারা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। এর পাশাপাশি তারা এটি সমাধানের নতুন উপায় খুঁজে বের করা ছাড়াও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আশ্রয়শিবিরে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার জন্য নতুন দাতাদের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার উপায় অনুসন্ধান করেন।
ড.
প্রধান উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী জুলি বিশপকে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
জুলি বিশপের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ড. ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান মানবিক সংকট লাঘব এবং পশ্চিম মিয়ানমার থেকে নতুন শরণার্থীদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঠেকাতে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রনীতির অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও দাতা সংস্থাকে সম্পৃক্ত করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
এসময় বিশপ বলেন, জাতিসংঘের আসন্ন আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলন সফল করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংকটের টেকসই সমাধানে সহায়ক হতে পারে।
তিনি আরও জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন।
এএ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ হলো সেন্ট গ্রেগরী স্কুলের বিজ্ঞান উৎসব
রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে (এসজিএইচএসসি) তিন দিনব্যাপী ১৬তম জাতীয় বিজ্ঞান উৎসব শেষ হয়েছে। রোববার সমাপনী আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা নামে এবারের উৎসবের। এদিন বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিকাগোর সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটির গ্রাহাম স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ডিন ও জিএনএ চেয়ারম্যান ফয়সাল এম রহমান; লেকচার পাবলিকেশন লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন ব্যবস্থাপক নিজাম আহমেদ, এসজিএইচএসসির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান কমল কোরায়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার প্লাসিড পিটার রিবেরু।
গ্রেগরিয়ান ফয়সাল এম রহমান বলেন, ‘বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিহার্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্রুততম ও সর্বোত্তম পথ হিসেবে এর ভূমিকাকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।’
তিন দিনব্যাপী ১৬তম জাতীয় বিজ্ঞান উৎসবের পর্দা ওঠে গত ২০ ফেব্রুয়ারি। মাঝখানে এক দিন একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য অনুষ্ঠানটি বন্ধ ছিল। ‘আজকের উদ্ভাবন আগামীর সুরক্ষা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয় এই আয়োজন।
তিন দিনব্যাপী বার্ষিক বিজ্ঞান উৎসবে শিক্ষার্থীরা পাঁচটি গ্রুপে অংশ নেয়। উৎসবে ছিল—অলিম্পিয়াড, দুই ক্যাটাগরির সায়েন্স প্রজেক্ট, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়াল ম্যাগাজিন প্রতিযোগিতা, গেম ইভেন্ট: হান্ট দ্য পিরিয়ডিক টেবিল এবং মিউজিয়াম স্পেসিমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন।
সেন্ট গ্রেগরী স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৯৬০ সালে প্রথম বিজ্ঞান উৎসব শুরু করে। বিজ্ঞান উৎসব, স্কাউট, বাস্কেটবলের সূতিকাগার এই বিদ্যাপীঠের বিজ্ঞান মেলা আয়োজন এক বিশাল মহোৎসব, যেন বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানচর্চার এক বিশাল দিগন্ত।
গ্রেগরিয়ান সায়েন্স ক্লাব শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই উৎসবের আয়োজন করে। এবারের উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড, সহযোগী পৃষ্ঠপোষক লেকচার পাবলিকেশনস লিমিটেড এবং মিডিয়া পার্টনার যমুনা টেলিভিশন ও বিজ্ঞানচিন্তা।