ধর্ষণের শাস্তি `প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড` করার দাবিতে সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন
Published: 23rd, February 2025 GMT
সম্প্রতি সময়ে দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন সোনারগাঁয়ের সবস্তরের ছাত্র জনতা। এ সময় তারা ধর্ষকের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া এবং সরকারকে এ আইন পাসের অনুরোধ জানান।
রবিবার বিকেলে সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছাত্র জনতা এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের বর্ণনা তুলে ধরেন।
এ সময় তারা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, 'দেশের প্রশাসনের কাছে দাবি, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে হবে এবং ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রায়ই ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। কিন্তু ধর্ষকদের কোনো শাস্তির বিষয়ে জানা যায় না।
আমাদের দাবি ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড করতে হবে। 'ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ১ মাসের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। দেশের এই অস্থিতিশীল অবস্থা যদি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঠিক করতে ব্যর্থ হন তবে তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে |
এই সময় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান স্বজন, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ, ড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার জনবল রাজস্বকরণের দাবিতে মানববন্ধন
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের জনবল রাজস্বকরণ ও আউটসোর্সিং বাতিলের দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন হয়েছে। পরে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবের সামনে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, কেয়ারটেকারদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের সারা দেশে ৩ লাখ মসজিদে ৮০ হাজার আলেম ওলামা বিগত ৩৩ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু সবসময় অবহেলিত, নির্যাতিত, বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন তারা। সাতবার প্রকল্প পাস করার পর অষ্টমবার প্রকল্প পাস করার ক্ষেত্রে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল রাজস্ব খাতে নেওয়ার। কিন্তু তিন মাস অতিবাহিত হতে চললেও কোনো বেতন বোনাস দেওয়া হয়নি। সামনে ঈদুল ফিতর, পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন
২৫ লাখ মুক্তিপণ দিলেও ছেলে ফেরেনি, মানববন্ধনে পরিবারের আকুতি
ভুক্তভোগীরা বলেন, আজ যেখানে দেশের মানুষ ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত, তখন দেশের ৮০ হাজার ওলামা বেতন না পাওয়ায় অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন। তাই তাদের দাবি, প্রকল্পকে আউটসোর্সিং থেকে বাতিল করে রাজস্ব খাতে নিতে হবে এবং প্রস্তাবিত ৮ম পর্যায়ের প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে। আর ঈদের আগেই বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে এবং প্রতিমাসের বেতন প্রতিমাসে দিতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গতে তোলা হবে।
পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাওয়ার সময় জেলা পরিষদের সামনে তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইকবাল হোসাইন, সেক্রেটারি আব্দুল গাফফার খান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পাবনার ফিল্ড অফিসার রজব আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান, উজ্জ্বল হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ঢাকা/শাহীন/বকুল