ব্যাট হাতে তিনি রেকর্ড গড়বেন, এ আর এমন কী! কত দ্রুত মাইলফলকে পৌঁছে যেতে পারছেন, বিরাট কোহলির জন্য এখন দেখার বিষয় হয়ে গেছে এটিই। পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি মাইলফলক ছুঁয়ে এগিয়ে থাকায়ও প্রথম হলেন তিনি। একটি রেকর্ড গড়লেন ফিল্ডিংয়েও।
পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচটি যখন খেলতে নামেন, তাঁর নামের পাশে ১৩ হাজার ৯৮৫ রান। এই ম্যাচে ১৫ রান করতেই ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রান করা দ্রুততম ব্যাটসম্যান হয়ে গেছেন কোহলি।
আরও পড়ুনইমামের রানআউট নিয়ে ইনজামামকে খোঁচা আকরাম–শাস্ত্রীর১ ঘণ্টা আগেএত দিন এই রেকর্ডটা ছিল এমন একজনের দখলে, যাঁর সঙ্গে তুলনা করা হয় কোহলির। ৩৫০ ইনিংসে ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রান করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। তাঁদের দুজনের বাইরে এই সংস্করণে ১৪ হাজার রানই অবশ্য আছে আর একজনের—শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা ৩৭৮ ইনিংস খেলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন।
এই ম্যাচেই একটি ভারতীয় রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। সেটি অবশ্য ব্যাটিংয়ে নয়, ওয়ানডেতে এখন ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ডটি কোহলির দখলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের সমান ১৫৬ ক্যাচ ছিল তাঁর।
ফিফটি উদ্যাপন করছেন কোহলি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ড. ইউনূসকে এক মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই: সারজিস
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এক মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে সারজিস লেখেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মত একজন স্টেটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার আজীবন থাকবে।’
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেকে হাসিনা। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামের একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি একজন সামাজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইউনূস ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।