অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত শফিক আরজু`র কাব্যগ্রন্থ এই দিগন্ত
Published: 23rd, February 2025 GMT
১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফেব্রুয়ারী মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা।
মেলাকে ঘিরে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের চলে আনন্দ মিলন মেলা। এই অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশপেলো নারায়ণগঞ্জ জেলা হাজীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মোঃ শফিকুল ইসলাম আরজু'র একটি কবিতার বই।
এটি তার দ্বিতীয় কাব্যগন্থ। কাব্যগন্থটির নাম "এই দিগন্ত " । বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রৌদ্র ছায়া । কবি ও সাংবাদিক মোঃ শফিকুল ইসলাম আরজু নামে সকলের কাছে পরিচিতহলেও বইটিতে তার কাব্যিক নাম প্রকাশ পায় শফিক আরজু নামে।
কাব্যিক শফিক আরজু'র জন্ম ১৯৭৫। ছাত্র জীবন থেকেই তার লেখা লিখির প্রতি আগ্রহ। আরজু বহুগুণের প্রতিভাময় একজন ব্যক্তি। তিনি এ পযন্ত বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক, মানবাধিকার সংস্থা, সাহিত্য ও সাংবাদিক সংগঠনে জড়িত থেকে দক্ষতার সহিত নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সততা ও নিষ্ঠার সহিত কাজ করছেন ।
তার প্রথম কাব্য গন্থ ২০১৬ সালে প্রকাশ হয় ছায়াবীথি প্রকাশনা থেকে প্রতিক্ষার প্রহর। তার লেখা কবিতা গল্প প্রবন্ধ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে সাহিত্যের ছোট কাগজ , দৈনিক পত্রিকা, সাহিত্য সাময়িকীসহ যৌথ কাব্যগ্রন্থে।
তিনি বর্তমানে সাহিত্য সাময়িকী কাব্য ছন্দ নামে তার সম্পদনায় একটি সাহিত্যের ছোট কাগজ বের করে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রস্ট সাংবাদিক সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন ।
তার পিতা মৃত হাজী আকবর হোসেন ও মাতা মরহুমা রোকেয়া বেগম। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান । শফিক আরজু'র একমাত্র কন্য অনিছা তারান্নুম অমি ও স্ত্রী এড.
এই দিগন্ত কাব্য গন্থ বইটি লেখক সহজ সরল ভাষায় প্রেম বিরহ আনন্দ বেদনা ও জগৎ সংসারের চিত্র তার লিখনির মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। সকল শ্রণী পাঠক বইটি পড়ে আনন্দ পাবেন বলে লেখক আশাবাদী। বইটি বাংলা একাডেমি ও নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া শহীদ জিয়া হলের অমর একুশে বইমেলার রৌদ্রছায়া স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
লাশ পুতে রেখে জায়গাটি ঘুরে ঘুরে পাহারা দেয় ইয়াসিন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মিজমিজিতে স্ত্রী-সন্তানসহ তিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার ইয়াছিন। বুধবার পুলিশ চার দিনের রিমান্ডের পর তাকে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ শামসুর রহমানের আদালতে হাজির করে। এ সময় ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ইয়াছিন জবানবন্দী দিয়েছেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানিয়েছেন।
স্ত্রী লামিয়া আক্তার, চার বছরের সন্তান আব্দুল্লাহ লাবীব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারকে ইয়াছিন একাই হত্যা করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ শাহীনুর আলম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের রাস্তায় ইট-সুরকির নিচে চাপা দেন তিনি।
ইয়াসিনকে গ্রেপ্তারের পর আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেও চার দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বুধবার তাকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠায় পুলিশ। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার বাড়ির কাছের একটি পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা বটি উদ্ধার করে পুলিশ। একই পুকুর থেকে রক্তমাখা জামা-কাপড় ভরা একটি ব্যাগও উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি মোহাম্মাদ শাহীনুর আলম বলেন, ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া, তাদের সন্তান আব্দুল্লাহ ও স্বপ্নার লাশ গত ১১ এপ্রিল উদ্ধার করা হয়। একই দিন গ্রেপ্তার করা হয় ইয়াছিনকে। তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলেও আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াছিন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি একাই স্ত্রী সন্তানসহ তিনজনকে হত্যা করেছেন। মাদকের টাকার জন্য উচ্ছৃঙ্খলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে সৎ মায়ের মামলায় ইয়াছিনকে গত ২৭ রমজানের দিন গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে ইয়াছিন জামিনে ছাড়া পান। পুলিশ জানিয়েছে, তার স্ত্রী লামিয়া, সন্তান আব্দুল্লাহ এবং স্বপ্না মিজমিজি পুকুরপাড় এলাকার আক্তার হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ইয়াছিন জামিনে আসার পর গত ৮ এপ্রিল বাসায় যান। এ সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এ সময় লামিয়ার বোন মানসিক রোগী স্বপ্না বটি নিয়ে তেড়ে আসেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্বপ্নার কাছ থেকে ইয়াছিন বটিটি কেড়ে নিয়ে স্ত্রী লামিয়ার গলায় কোপ দিলে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় স্বপ্না চিৎকার দিলে তাকেও কুপিয়ে গলা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করেন। শিশু আব্দুল্লাহর গলায় থাকা তাবিজের সুতা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাকে। এরপর লামিয়া ও স্বপ্নার মাথা ও হাত-পা একটি বস্তায় এবং দেহ দুটি আরেকটি বস্তায় ভরে কাথা কম্বলে পেঁচিয়ে নেয়। পরে আব্দুল্লাহরসহ তিন লাশ রাস্তার পাশে ইট-সুরকির নিচে চাপা দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, লামিয়া ও স্বপ্নার রক্তমাখা জামা-কাপড় একটি ব্যাগে ভরে সেটিসহ বটি বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেন। এরপর অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় লামিয়ার বাসায় ছিলেন। ঘুরে ঘুরে লাশ চাপা দেওয়া স্থান পর্যবেক্ষণে রাখেন। গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
ওসি বলেন, আদালত ইয়াছিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড দিলেও হত্যার দায় স্বীকার করায় চতুর্থ দিনেই তাকে আদালতে জবানবন্দি দিতে পাঠানো হয়েছে। তিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লামিয়া ও স্বপ্নার বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে গত ১১ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা মামলায় লামিয়ার স্বামী ইয়াছিনকে প্রধান আসামি করা হয়। তার বাবা মো. দুলাল ও বোন শিমুকেও আসামি করা হয়েছে।