সাকিব আল হাসানের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলার খবরে একটু বিস্ময়ই জন্মেছিল। দেশে এসে টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। বিপিএল খেলতে আসতে পারেননি দেশে। মাথায় আবার হত্যা মামলার বোঝা। 

সাকিব কি সত্যিই লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ডিপিএল খেলতে আসবেন ডিপিএলের দলবদলের খবরের পরই চাউর হয়েছিল এই প্রশ্ন। 

তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া গেছে উত্তর। সাকিব ডিপিএল খেলতে দেশে ফিরবেন না। তিনি তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দলে তার নাম না রাখার জন্য ক্লাবকে অনুরোধ করেছেন দেশ সেরা এই ক্রিকেটার। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সাকিব অনুরোধ করেছেন, তার দলবদল স্থগিত রাখতে। সাকিবের প্রতি সম্মান রেখে, তার আবেদনটা আনুষ্ঠানিকভাবে সিসিডিএমকে জানিয়ে দিয়েছি।’

সাকিব নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর সাকিব দেশে ফিরতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে দেশে আসার ঘোষণা দিয়ে দুবাই পর্যন্ত আসলেও দেশে ফিরে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে ম্যাচ খেলার অনুমতি পাননি তিনি। ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল স ক ব আল হ স ন ড প এল

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ