স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে ১ হাজার ১৫৫ টাকা। ফলে এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ কিনতে লাগবে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭০ টাকা।

রোববার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যা আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ২০ দিনে টানা পাঁচ বার স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়।

বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৫ টাকা। ১৮ ক্যারেটের প্রতিভরির দাম পড়বে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৮১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৪০১ টাকা।

তবে রূপার দাম বাড়ানো বা কমানোর কোনো ঘোষণা আসেনি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স বর ণ স বর ণ র দ ম

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার ও নির্বাচন, দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ মনে করে জমিয়ত ও এবি পার্টি

প্রয়োজনীয় সংস্কার ও যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন—দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও এবি পার্টি। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দল দুটির নেতারা এ বিষয়ে একমত হন।

রোববার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়াসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈঠকে জমিয়তের সহসভাপতি আবদুল কুদ্দুস কাসেমী, মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ও যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সম্পর্কে জমিয়ত নেতা আবদুর রব ইউসুফী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত এখন দেশ কীভাবে চলছে, আগামী সরকার কেমন হওয়া উচিত, এসব বিষয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। আমরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি, বিএনপির সঙ্গেও আমরা মতবিনিময় করেছি।’

এদিকে বৈঠকের পর এক বিজ্ঞপ্তিতে এবি পার্টি জানিয়েছে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আমন্ত্রণে এবি পার্টির প্রতিনিধিদল দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করে। বৈঠকে দুই দলের নেতারা বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে জাতীয় নির্বাচন—এ দুটি বিষয়ের প্রতি সমান গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, বিষয় দুটির মধ্যে কোনো বৈপরীত্য নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে গ্রহণযোগ্য সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ ছাড়া আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধন এবং জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানানো হয় বৈঠকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ