অবৈধ সম্পদ: রাসেল ও আলমের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 23rd, February 2025 GMT
৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫৮ লাখ ৪৭০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম তালুকদারের নামে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের মহাপরিচালক মো.
আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা, মানিলন্ডারিং ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
হারুন ও তার ভাইয়ের ১৩০ বিঘা জমি জব্দ, ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
গোপালগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের নামে মামলা
সাবেক প্রতিমন্ত্রীর মামলার এজাহারে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার ৫টি ব্যাংক হিসাবে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ৬৫ হাজার ৮২৪ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদক জানায়, রাসেলের স্ত্রী তাহেরা খাদিজার নামে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৫২২ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়, যার কোনো গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি। রাসেলের অবৈধ সম্পদ তার স্ত্রীর কাছে থাকতে পারে। সম্পদের খোঁজে স্ত্রী তাহেরাকে সম্পদ বিবরণীর হিসাব দিতে নোটিশ দেওয়া হবে।
এদিকে সাবেক এমপি মো. শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫৮ লাখ ৪৭০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তার ১২টি ব্যাংক হিসেবে ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৭২ টাকার লেনদেন এর তথ্য পাওয়া গেছে।
সাবেক এমপির স্ত্রী আতিয়া আলম মিলির বিরুদ্ধে ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকেও শিগগিরই সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেবে দুদক।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাস্থ্যের গাড়িচালক মালেকের ৫ বছর, তাঁর স্ত্রীর ৩ বছর কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের আরও একটি মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক মো. আবদুল মালেকর পাঁচ বছর এবং তাঁর স্ত্রী নার্গিস বেগমের তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এই দুইজনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন আজ বুধবার এ রায় দেন। রায়ের আগে কারাগার থেকে মালেককে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম।
রায়ের তথ্য অনুযায়ী, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পাদনের অভিযোগে আবদুল মালেকের পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর তাঁর স্ত্রীর তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ২৩ মার্চ দুর্নীতির আরও একটি মামলায় আবদুল মালেককে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মালেকের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি আবদুল মালেক দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। তিনি তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন।
অপর মামলায় মালেক ও তাঁর স্ত্রী নার্গিস বেগমকে আসামি করা হয়। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, মালেক ও তাঁর স্ত্রী নার্গিস বেগম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ভোগদখলে রাখায় পরস্পরকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেন।
এর আগে ২০২১ সালে অস্ত্র মামলায় মালেককে ৩০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
মালেক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক।
অষ্টম শ্রেণি পাস মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন। গ্রেপ্তারের আগপর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।