সালথায় রিজিয়া রশীদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
Published: 23rd, February 2025 GMT
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিভাগদী রিজিয়া রশীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তলনের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগদী শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আবু রাহাত খান সিরাজ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.
দিনব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্বে সভাপতির বক্তব্যে আবু সাঈদ খান বলেন, আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতের আলো। এদেশের মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকার সম্মান ধরে রাখতে লেখাপড়ার মাধ্যমে আলো ছড়াতে হবে। শিক্ষাকে সংকীর্ণ দলাদলির ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। সব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি ও স্থানীয় প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে। দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে এর বিকল্প নেই।
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আপনাদের ছেলে মেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করুন। যাতে ভালো একটা সমাজ ও দেশ উপহার দিতে পারে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে হবে। এতে মেধার বিকাশ ঘটে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বহু নাটকীয়তার পর এএসপিদের সমাপনী কুচকাওয়াজ
এক বছর প্রশিক্ষণ শেষে গত বছরের ২০ অক্টোবর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। দেড় হাজারের বেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু আগের রাতে হঠাৎ কুচকাওয়াজ স্থগিত করে প্রশাসন। এর পর ২৪ নভেম্বর সেই অনুষ্ঠানের জন্য দিন ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু সেবারও অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বিসিএস ৪০তম ব্যাচের এএসপিদের সমাপনী কুচকাওয়াজকে কেন্দ্র করে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ঘটতে থাকে। অবশেষে সেই সমাপনী কুচকাওয়াজটি হয়ে গেল।
রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহীর চারঘাটে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণের পর শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের পদক প্রদান করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সব নাগরিকের, কোনো দলের নয়, কোনো গোষ্ঠীর নয়, কোনো সম্প্রদায়ের নয়। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করবে। তারা কোনো দলের তল্পিবাহক হয়ে কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা তাদের অন্যায্য ও অন্যায় নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে অপেশাদার আচরণ ও বেআইনি কাজ করবে না। আজকের এই সমাপনী অনুষ্ঠানে আপনারা এই শপথে বলীয়ান হবেন– এই আশাবাদ ব্যক্তি করছি। নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কর্তব্য পালন করতে হবে। থানায় এসে মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেই দিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয় বিসিএস ৪০তম ব্যাচের ৬৩ জন ও ৩৮তম ব্যাচের তিনজনসহ মোট ৬৬ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারের। এক বছর প্রশিক্ষণ শেষে গত বছরের ২০ অক্টোবর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে আগের রাতে তা স্থগিত করা হয়। পরে আবারও দিন ঠিক করার পর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছিল।
এর পর গত ১৫ ডিসেম্বর এলোমেলোভাবে হেঁটে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন– এমন অভিযোগ এনে শিক্ষানবিশ ২৫ এএসপিকে শোকজ করা হয়। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের মাত্র দুই দিন আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি শোকজপ্রাপ্ত ২৫ জনের মধ্যে ছয়জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। অবশেষে আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি ৪০তম বিসিএস ব্যাচের ৫৭ জন ও ৩৮তম বিসিএস ব্যাচের তিনজনসহ মোট ৬০ প্রশিক্ষণার্থীর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হলো।
প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ও বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদার অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভূঞা।
প্যারেড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশনের মেজর জেনারেল এস এম আসাদুল হক, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাওয়াদুল হক, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) বাংলাদেশ পুলিশ আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ ও আরএমপির পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ উচ্চপদস্থ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী দুই প্রশিক্ষণার্থী হলেন রুহুল আমিন লাবু ও এম সায়েলিন।