অমর একুশে বইমেলায় কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের বিশেষ অনূদিত বই ‘থার্টি সেকেন্ড কোয়ান্টাম থিওরি’ নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানপ্রিয় এর প্রতিষ্ঠাতা শাওন মাহমুদ।

বইটি মূলত ইংরেজ বিজ্ঞান লেখক ব্রায়ান ক্লেগ সম্পাদিত ‘থার্টি সেকেন্ড কোয়ান্টাম থিওরি’র বাংলায় ভাষান্তর। বইটি একুশে বইমেলায় অন্বেষা প্রকাশনের ৭০৯-৭১২ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে।

বইটি সম্পর্কে শাওন বলেন, “বিজ্ঞানের সবচেয়ে থ্রিলিং টপিক কোয়ান্টাম। কোয়ান্টাম থিওরি কিছুটা জটিল। তবে দুর্বোধ্য নয়। রিচার্ড ফাইনম্যান বলেছেন, ‘তুমি যদি মনে করো কোয়ান্টাম বোঝ, তবে তুমি কিছুই বোঝনি।’ কিন্তু ছোট ছোট ঝর্নাধারা মিলে যেমন বড় নদীর সৃষ্টি হয়, তেমনি ছোট ছোট চিন্তার খোরাক পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বোধ্য বিষয়কেও পানির মতো সহজ করে দেয়। এ বইয়ে সেই কৌশলই খাটানো হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

দিনশেষে বই একটি সৃজনশীল পণ্য: পলাশ মাহবুব

‘গভর্নরের স্মৃতিকথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

তিনি বলেন, “কোয়ান্টাম তত্ত্ব সহজে বোঝার জন্য যেসব গুরুত্বপূর্ণ টার্ম রয়েছে, প্রত্যেকটিকে ৩০ সেকেন্ডে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এ বইয়ে। সাজানো হয়েছে আবিষ্কারের টাইমলাইন অনুসারে। ৫০টি রোমাঞ্চকর অধ্যায়। দুর্ধর্ষ ৭টি পর্ব!”

“৩০ সেকেন্ডে যথেষ্ট নয়? তাহলে আপনার জন্য প্রতি অধ্যায়ে রয়েছে ৩ মিনিটের চিন্তার খোরাক। টার্মগুলোর সঙ্গে জড়িত যেসব গল্প না জানলেই নয়, সেগুলোও ছবিসহ রয়েছে প্রতি অধ্যায়ে। রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময়ের গল্প ও টাইমলাইন। সহজ ভাষায়, বইটি কোয়ান্টাম তত্ত্বের একটা ম্যাপ। এ ম্যাপ ধরে অগ্রসর হলে কোয়ান্টাম তত্ত্বের গতিবিধি বোঝা সহজ হবে এবং আগ্রহ বাড়বে,” যুক্ত করেন শাওন।

শাওন মাহমুদ পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা করেছেন জনপ্রিয় বিজ্ঞানভিত্তিক সংগঠন ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’, যা এখন পর্যন্ত বাংলা ভাষায় সর্ববৃহৎ বিজ্ঞানের নেটওয়ার্ক। ডিজিটাল বিজ্ঞান শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের রাজ পরিবার থেকে পেয়েছেন ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’।

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লাইভ ভিডিও শর্ত দিল মেটা

ক্রিয়েটর ও ভক্তদের জন্য বড় আপডেট ঘোষণা করল জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক। মেটা সূত্রে জানা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাইভ ভিডিও মুছে ফেলা হবে। ব্লগ পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছে মেটা। নতুন নীতি বলছে, গ্রাহকের প্রোফাইল বা পেজ থেকে স্ট্রিম করা  সব লাইভ ভিডিও ৩০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে নেওয়া হবে। অর্থাৎ গ্রাহক আর তার খোঁজ পাবে না, যদি না ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করা হয়।
২০১৬ সালে প্রথম লাইভ ভিডিও সুবিধা সচল করে ফেসবুকে। সারাবিশ্বে ফেসবুক লাইভ নামে পরিচিত ফিচারটি মুহূর্তেই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে তুমুল সাড়া জাগায় এবং জনপ্রিয় হয়।
লাইভ ভিডিও ফিচার ফলোয়ার্স ও বন্ধুদের সঙ্গে রিয়েল টাইম অভিজ্ঞতা বিনিময় করার সুবিধা দেয়। মেটা বলছে, ফেব্রুয়ারি থেকে লাইভ স্ট্রিম করা সব ভিডিও ৩০ দিন সময়ের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলা হবে। গ্রাহক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের ভিডিও ডাউনলোড করার সুযোগ পাবেন।
লাইভ ভিডিও ডাউনলোড

সরাসরি (লাইভ) ধারণকৃত ফেসবুক ভিডিওচিত্র ডাউনলোডের প্রয়োজনে ফেসবুক প্রোফাইল, পেজ বা মেটা বিজনেস স্যুট অপশনে যেতে হবে।
লগইন করার পর ভিডিও ট্যাব দৃশ্যমান হবে। সেখানে ওয়েব গ্রাহকরা লাইভ ট্যাব অ্যাকসেস করতে পারবেন। প্রয়োজনে ওই অংশ পছন্দের ভিডিও নির্বাচন করতে হবে। ‘ফুল স্ক্রিন’ মোডে প্রবেশ করতে হবে। তারপর ডাউনলোড ভিডিও অপশনে ক্লিক করলে কাজ হয়ে যাবে। আবার একসঙ্গে অনেক ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোডের প্রয়োজন হলে নোটিফিকেশন আইকনে ট্যাপ করে ‘ডাউনলোড ফ্লো’ নির্বাচন করে নিতে পারবেন। নির্ধারিত তারিখ নির্বাচন করার পর ডিভাইসের অবস্থান সিলেক্ট করতে হবে। যেন ডাউনলোডযোগ্য ফাইল তৈরি করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ভিডিও ডাউনলোড করা সহজ হয়। 
আগ্রহীরা প্রয়োজনে এক বা একাধিক ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য তাদের ফেসবুক পেজের অ্যাক্টিভিটি লগ অ্যাকসেস সুবিধা নিতে পারেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ