হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি আদায়ে ঢাকায় এসেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এসব দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা দিয়েছেন তাঁরা। আজ রোববার দুপুরে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় গিয়ে স্মারকলিপি দেন। পরে শহীদ মিনারে গিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে কুয়েট থেকে দুটি বাসে ৮২ জন শিক্ষার্থী আজ ঢাকায় আসেন। বিকেলে শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে এই শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এই ব্যর্থতার দায়ে উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে। যত দিন ক্যাম্পাসকে তাঁরা নিরাপদ মনে করবেন না, তত দিন তাঁরা ক্যাম্পাসে ফিরবেন না।

১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ছাত্রদল ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।

আজ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দেওয়ার পরও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। হামলাকারীরা শনাক্ত হলেও অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করে প্রশাসন ঢালাও মামলা করেছে। শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছেন, ঢালাও মামলাটি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তাঁরা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বিমান হামলা, নিহত ৫৮

ইয়েমেনের রাস ইসা বন্দরে মার্কিন ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২৬ জন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে এটি একটি। খবর আল জাজিরার।

মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হুথি যোদ্ধাদের জ্বালানির উৎস বন্ধ করার জন্যই এই হামলা চালানো হচ্ছে।

ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুথিদের অবস্থানগুলোতে তারা হামলা চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের ওপর এই গোষ্ঠীর আক্রমণ বন্ধ হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুথিদের অর্থনৈতিক শক্তির উৎস কমানো।

অন্যদিকে গাজায় প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে বৃহস্পতিবার ৩২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। তবে শুক্রবার সকালে চালানো হামলায় অবরুদ্ধ উপত্যকাটির খান ইউনিসে এক পরিবারের ১৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজা আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে খারাপ মানবিক ব্যর্থতাগুলোর মধ্যে একটি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৫১ হাজার ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জন।

যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা চাপা পড়েছে তাদেরও নিহতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ