বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পরীক্ষামূলক নিরীক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন।

তিনি বলেন, “বর্তমানে বাকৃবিতে প্রকল্পভিত্তিক গবেষণায় মোট ১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আওতায় থাকা ৪৭টি গবেষণা প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিভিন্ন বিভাগের ৪৪টি গবেষণা প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাকৃবিতে ইউজিসির অর্থায়নে পরিচালিত এসব গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পরীক্ষামূলক নিরীক্ষণ শুরু হয়েছে।”

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে বাকৃবি রেজিস্ট্রার ড.

মো. হেলাল উদ্দীন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে কৃষি খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে, যা কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসার এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গবেষণার ভূমিকা অপরিসীম।”

গবেষণা বরাদ্দ আরো বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে রেজিস্ট্রার বলেন, “মুদ্রাস্ফীতির কারণে বর্তমানে বরাদ্দকৃত বাজেট যথেষ্ট নয়। গবেষণা প্রকল্পের জন্য বাজেট বাড়ানো গেলে আরো বেশি শিক্ষার্থী এসব প্রকল্পে যুক্ত হতে পারবে। ফলে এসব গবেষণার গুণগত মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।”

তিনি বলেন, “কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এতে গবেষণার ফলাফল দ্রুত মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক কৃষিখাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র পর চ ল ইউজ স

এছাড়াও পড়ুন:

ফার্মাসি পড়ে ক্যারিয়ার

ফার্মাসি একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল সাবজেক্ট এবং স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা। সহজভাবে এটি হলো ওষুধবিজ্ঞান। ওষুধ বানানো, এর মান নির্ধারণ, ব্যবহার, বিতরণ, পরিবেশন– এসবই এর আলোচ্য বিষয়। 
ফার্মাসিতে পড়ার সুযোগ রয়েছে যেখানে:
ফার্মাসি প্রোগ্রামে পড়তে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিষয়ে স্নাতকে ভর্তি হতে ‘ক’ ইউনিট কিংবা জীববিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি পড়ানো হয়। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়,আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিষয়ে পড়ানো হয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল কর্তৃক রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্টরাই ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট যারা ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ওষুধের ফর্মুলেশন, উৎপাদন, মানোন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও নিশ্চিতকরণ, স্থিতিশীলতা, গবেষণাসহ ফার্মাসি সংশ্লিষ্ট পণ্য নিয়ে কাজ করে থাকেন। 
যেসব বিষয় পড়ানো হয়: 
ফার্মাসি একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট (একসঙ্গে অনেক বিষয়ের সমন্বয়)। ফার্মাসিতে যা পড়ানো হয় তার মধ্যে রয়েছে– রসায়ন (inorganic/organic/physical/ Analytical/Medicinal chemistry), মানবদেহ (Physiology/Anatomy), ওষুধবিদ্যা (Pharmacognosy /Pharmacology / Pharmaceutical technology / Quality control / Pharmaceutical Engineering /Biopharmaceutics), লাইফ সায়েন্সের অন্যান্য বিষয়(Microbiology / Biochemistry / Biotechnology) Hospital pharmacy / Clinical pharmacy, Pathology, Drug and disease management, Statistics) সহ আরও কিছু বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট বলে। এ ছাড়া দেশে ও দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পিএইচডিসহ অন্যান্য ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। 
ফার্মাসিস্টদের চাকরির ক্ষেত্র:
একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নতুন ওষুধ আবিষ্কার থেকে শুরু করে রোগী কর্তৃক ব্যবহার পর্যন্ত যে কোনো প্রকার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন। 
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও মার্কেটিং সেক্টরে সুযোগ বেশি। এখানে প্রায় দুই শতাধিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কোম্পানিতে প্রডাকশন, প্রডাক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং বা সেলস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে থাকেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্টরা। এর বাইরে সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, আর্মড ফোর্সেস, সরকারি হাসপাতাল, ঔষধ প্রশাসনসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন উচ্চপদে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। v

সম্পর্কিত নিবন্ধ