চট্টগ্রামে থানা কম্পাউন্ডের ভেতর থেকে এক আসামির স্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন এক প্রতারক। আজ রোববার বিকেলে নগরের খুলশী থানায় এই ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী নারী রেশমি আক্তার আজ বিকেলে খুলশী থানার সামনে প্রথম আলোকে বলেন, তিন মাস আগে খুলশী থানার একটি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন তাঁর স্বামী মো.

ইউসুফ। আজ মামলার হাজিরার দিনে তাঁর স্বামীকে আদালতে হাজির করা হয় কারাগার থেকে। স্বামীর সঙ্গে আদালতে দেখা হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। ওই ব্যক্তি বলেন, ডিএনএ প্রতিবেদনে তাঁর স্বামীর কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনটির জন্য রেশমি আক্তার, তাঁর স্বামীর বড় বোনকে নিয়ে ওই প্রতারকের সঙ্গে খুলশী থানায় যান। সেখানে ওই প্রতারক রেশমিকে থানা কম্পাউন্ডের ভেতর কর্তব্যরত অফিসারের কক্ষের সামনে থাকা চেয়ারে বসিয়ে রাখেন। বেলা তিনটার দিকে রেশমি ও তাঁর স্বামীর বোন বাসা থেকে নিয়ে আসা খাবার খান ওই চেয়ারে বসে। পরে চেয়ারে ভ্যানিটি ব্যাগ রেখে থানার নিচতলায় হাত ধুতে যান তাঁরা। এরই ফাঁকে চেয়ারে থাকা ব্যাগটি নিয়ে উধাও হয়ে যান ডিবি পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি।

রেশমি আক্তার আরও বলেন, ব্যাগের ভেতর তাঁর ১৫ হাজার টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও দুটি মুঠোফোন ছিল। রেশমির দাবি, তাঁর স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এ কারণে ডিএনএ প্রতিবেদনে কিছু পাওয়া যায়নি বলায় তাঁর বিশ্বাস হয়েছে। তাই ডিবি পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির সঙ্গে থানা যান।

জানতে চাইলে খুলশী থানার এসআই নুরুল ইসলাম সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, থানায় থাকা সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, এক ব্যক্তি ওই নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং

বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির অভিযোগ এসেছে। ‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ তথ্য ফেসবুকে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।

১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭ দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যা ৮০ শতাংশ ওভারচার্জ।

২২৭ টাকা মূল্যের একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।

৭  দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জে বিক্রি হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তার তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহকস্বার্থ ও রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ