কক্সবাজারে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘‘সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে সকল নির্বাচন সফলভাবে বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্বাচন আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে।’’
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থিদের জয়
আ.
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সিইসি জানান, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে এ বছর ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘‘একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মানসম্পন্ন ভোটার তালিকা প্রয়োজন। আশা করা যায়, চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে এ তালিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হবে।’’
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি অবস্থা জারির বিষয়টি ‘গসিপ’: স্বরাষ্ট্রসচিব
দেশে জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সেটিকে ‘গসিপ’ (খোশগল্প) বলেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি। আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কার কোনো তথ্য নেই। পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে আজ সচিবালয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) সই শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
গতকাল রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা এ বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য দেন। এ বিষয়ে আজ স্বরাষ্ট্রসচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এসব গসিপ আলাপ–আলোচনা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সতর্ক আছি, পুলিশ সতর্ক আছে, সবাই চেষ্টা করছি যে স্থিতিশীলতা আছে, সেটা যেন রক্ষা করতে পারি।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে প্রতি রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তা প্যাট্রলিং (টহল দেওয়া) করছেন বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর ঢাকায় অবস্থিত হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) সাংবাদিকদের বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত। দুই দেশের পারস্পরিক বাণিজ্য, উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত অংশীদারত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের রয়েছে বৈচিত্র্যময় কর্মীবাহিনী। যার মধ্যে আছে দক্ষ পেশাদার থেকে শুরু করে আধা দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক, যারা অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।
অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার মোকাবিলায় একটি সামগ্রিক ও সমন্বিত আঞ্চলিক পদ্ধতির প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই এসওপি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিনিময়, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় এবং মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে কার্যকর সহায়তা প্রদান করবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।