আসন্ন ঈদ উৎসবকে ঘিরে সারা দেশে শুরু হয়েছে শীর্ষস্থানীয় দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’।

আগের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও মার্সেল পণ্যের ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক। সিজন-২২ এর আওতায় দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও সিলিং ফ্যান কিনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন ক্রেতারা।

আরো রয়েছে লাখ লাখ টাকার ক্যাশভাউচারসহ নিশ্চিত উপহার। ক্রেতারা ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে চলতি বছরের ঈদুল আজহা পর্যন্ত এসব সুবিধা পাবেন।

আরো পড়ুন:

চাঁদপুরকে অনেক ভালোবাসি: আমিন খান

টাঙ্গাইলে মার্সেলের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

গত বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) সকালে রাজধানীতে মার্সেল কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খান, চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, মার্সেলের হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান, মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক নর্থ জোনের ইনচার্জ কুদরত ই খুদা ও সাউথ জোনের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় মডেল এবং অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। পূর্বের প্রতিটি সিজনে গ্রাহকদের কাছ থেকে মিলেছে অভূতপূর্ব সাড়া। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের নতুন সিজন শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, ক্রেতারা দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতার দেওয়া মোবাইল নম্বরে মার্সেল থেকে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে উপহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সংশ্লিষ্ট শোরুম ক্রেতাদেরকে প্রাপ্ত উপহার বুঝিয়ে দেবে।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।

অন্যদিকে, সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় এসব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/পলাশ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড জ ট ল ক য ম প ইন ক য ম প ইন র অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ

২০২৫ সালের শুরু থেকে কানাডা সরকারের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে ফ্রেঞ্চভাষী আবেদনকারীদের প্রতি অগ্রাধিকার বাড়ানো হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৫৮৮ জন আবেদনকারীকে ITA (Invitation to Apply) প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ আবেদনকারীদের জন্য তিনটি পৃথক ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১৮ হাজার ৫০০ জন আবেদনকারী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

এতে এটা স্পষ্ট হয় যে কানাডা বর্তমানে দ্বিভাষিক (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ) সমাজকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।

কেন এই অগ্রাধিকার ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষীদের জন্য?

কানাডা একটি দ্বিভাষিক দেশ। ইংরেজির পাশাপাশি ফ্রেঞ্চও সরকারি ভাষা। বিশেষ করে কুইবেক প্রদেশসহ পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকায় ফ্রেঞ্চ হলো প্রথম ভাষা। স্থানীয় অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক খাতে ফ্রেঞ্চভাষীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে কানাডা সরকার চায় যেন অভিবাসীরা শুধু ইংরেজিভাষী না হয়ে ফ্রেঞ্চ ভাষায়ও দক্ষ হন।

ভাষা জানলে বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুযোগ

বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ—ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের রাস্তা সহজ করে নেওয়া। তুলনামূলক কম CRS (Comprehensive Ranking System) স্কোরে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষরা।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে কোথায় শেখা যায় ফ্রেঞ্চ ভাষা?

ফ্রেঞ্চ শেখার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

1. Alliance Française de Dhaka

অবস্থান: ধানমন্ডি ও গুলশান

ওয়েবসাইট: www.afdhaka.org

ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখানোর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

2. Institute of Modern Languages (IML), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এখানে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ফ্রেঞ্চ কোর্স রয়েছে।

3. Online Platforms:

Duolingo (বিনা মূল্যে)

Babbel, Coursera, Udemy (সার্টিফিকেটসহ কোর্স)

ফ্রেঞ্চ শেখা কতটা কঠিন সময়সাপেক্ষ?

বাংলাদেশিদের জন্য এই ভাষা শেখা হয়তো একটু কঠিন হতে পারে। সাধারণভাবে, একজন শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় দেন, তাহলে ৬ মাসের মধ্যে একটি ভালো বেসিক লেভেল অর্জন করা সম্ভব। উচ্চতর দক্ষতা অর্জনে সময় লাগতে পারে ১ থেকে দেড় বছর, তবে এর বিনিময়ে কানাডার মতো দেশের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ এক অনন্য প্রাপ্তি।

শেষ কথা

বর্তমান বিশ্বে শুধু ডিগ্রিই নয়, ভাষাদক্ষতাও হয়ে উঠেছে অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কানাডার মতো দেশে ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা সহজেই গড়তে পারেন তাঁদের ভবিষ্যৎ। শুধু দরকার একটু আগ্রহ, নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা।

আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ এপ্রিল ২০২৫)
  • জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘এআই অলিম্পিয়াড ২০২৫’
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  • বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে মাস্টার্সের সুযোগ
  • চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ৩৯
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৭ এপ্রিল ২০২৫)
  • যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে শিক্ষার্থীরা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করছেন, কারণ কী
  • পুলিশ স্টাফ কলেজে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স
  • প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৪%
  • কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ