আমি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী এবং একই সঙ্গে সবচেয়ে বড় সমালোচক। আমি শিল্পের প্রতিনিধিত্ব করি। এই প্রথম আমি এক অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখলাম, কোনো সরকারি সংস্থা (এনবিআর) করপোরেট প্রতিষ্ঠানের মতো আচরণ করছে। আমি এটিকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।

আজ একই অনুষ্ঠানে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও) সনদ চালু, ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট হাব ও কাস্টমস স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ২০২৪-২০২৮ উদ্বোধন করা হয়েছে—এগুলো সবই অত্যন্ত ইতিবাচক উদ্যোগ।

ইউনিলিভারের ৮০ শতাংশ কর্মী এ বছর অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছে। আমি নিজেও অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছি। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য চমৎকার ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে যেসব কাজ করা হয়েছে, সেগুলো ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। প্রক্রিয়া সহজ হলে ব্যবসা কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।

সাংবাদিকেরা প্রায়ই প্রশ্ন করেন, দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এত কম কেন। এ প্রসঙ্গে আমি একটি পরিসংখ্যান দিই। সেটা হলো, গত বছর বৈশ্বিক এফডিআই ছিল ১ দশমিক ৭৫ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি) ডলার। আগের বছরের তুলনায় বৈশ্বিক এফডিআই ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ আমাদের দেশে এফডিআই কমেছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ; অর্থাৎ এফডিআই আকর্ষণের জন্য আমাদের সামনে এখনো অনেক সুযোগ।

আমাদের জিডিপির সাপেক্ষে এফডিআইয়ের হার ১ শতাংশের নিচে। অন্যদিকে ভিয়েতনামে তা ৪ থেকে ৫ শতাংশ। সেই মানদণ্ডে পৌঁছাতে চাইলে আমাদের ১০ বিলিয়ন ডলারের এফডিআই আনার সুযোগ আছে এবং সেটিই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। তবে সে জন্য ব্যবসায়িক পরিবেশের সহজীকরণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের (এইও) মতো উদ্যোগগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে। অবশ্য কিছু চ্যালেঞ্জও আছে; এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা এনবিআরকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

জাভেদ আখতার: ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভিনি-মডরিচে জয় রিয়ালের

গোলে সহায়তা দিলেও জালের দেখা পাচ্ছিলেন না ভিনিসিয়াস জুনিয়র। লা লিগায় গোল খরা ছিল আরও প্রকট। জিরোনার বিপক্ষে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গোল পেয়েছেন ওই ভিনি। তার আগে দুর্দান্ত এক শটে জালে বল পাঠান বুড়ো লুকা মডরিচ। রিয়ালও পেয়েছে ২-০ গোলের জয়। 

বার্নাব্যুতে প্রথমার্ধের শেষ সময়ে লিড নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। রদ্রিগোর কর্ণার থেকে নেওয়া কিক ফিরে বক্সের বাইরে থাকা লুকার কাছে আসে। বুকে বল ধরে দুর্দান্ত এক ভলি করেন ক্রোয়াট ৩৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার। লাফিয়ে পড়েও ওই শট ফেরানোর সাধ্য হয়নি জিরোনা গোলরক্ষকের। 

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছিল গত মৌসুমে সেরা চারে লিগ মৌসুম শেষ করা জিরোনা। রিয়াল মাদ্রিদও ডাবলের খোঁজে ছিল। লেফট উইঙ্গ দিয়ে দারুণ খেলা ভিনি ও সেন্ট্রাল স্ট্রাইকার পজিশনে খেলা এমবাপ্পে একাধিক সুযোগও তৈরি করেন। ৮৩ মিনিটে ভিনির পা থেকে আসে স্বস্তির ওই গোল।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ