বন্দরে শাহ সিমেন্টের মিকচার গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে আহত ২, আটক
Published: 23rd, February 2025 GMT
বন্দরে শাহ সিমেন্টের মিকচার গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে দূর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় শাহ সিমেন্টের চালক ও হেলপার মারাত্মক ভাবে আহত হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পায় মদনপুরগামী একটি সাদা রংএর প্রাইভেটকার।
আহত মিকচার গাড়ী চালক রুবেল ( ৪০) এর নাম জানা গেলেও অপর জখমপ্রাপ্ত হেলপারের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি। দূর্ঘটনাস্থলে হাশেম মিয়ার একটি চায়ের দোকন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
স্থানীয়রা আহতদের জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারী) ভোর সাড়ে ৪টায় বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের হাজীপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ক্ষতিগ্রস্থ্য প্রাইভেটকার ও চালক সাদ্দাম (২৮)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে পৌনে ৫টায় সময় মদনপুর থেকে মদনগঞ্জ গামী ঢাকা মেট্রো শ ১৩-২২৭০ নাম্বারের শাহ সিমেন্টের গাড়ী চালক রুবেল চোখে ঘুম নিয়ে বেপরোয়া ভাবে গাড়ী চালিয়ে যাওয়ার সময় হাজীপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মদনপুরগামী সাদা রংএর ঢাকা মেট্রো গ ১১-৩০৭৪ নাম্বারের প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়ে খাদে পরে যায়।
এ ঘটনায় মিকচার গাড়ী চালক ও হেলপার মারকত্মক ভাবে জখম হয়। পুলিশ দূর্ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রাইভেটকার ও চালককে আটক করে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ প্রাইভেটকার চালক থানা হাজতে আটক আছে বলে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ দ র ঘটন মদনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রাচ হাতে, হুইলচেয়ারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মানববন্ধন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা সুচিকিৎসার দাবিতে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনে দেড় ঘণ্টা মানববন্ধন করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত শতাধিক আহত ব্যক্তি এই মানববন্ধনে অংশ নেন। তাঁরা বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই মানববন্ধনে পাশের চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও অংশ নেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, পঙ্গু হাসপাতালে বিভিন্ন তলায় চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে আহত ব্যক্তিরা হুইল চেয়ার ও ক্রাচে ভর করে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পাশের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা এই মানববন্ধনে যোগ দেন।
মানববন্ধনে আহত ব্যক্তিরা বলেন, গুলিতে আহত হয়ে তাঁরা মাসের পর মাস পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু তাঁরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সুচিকিৎসার অভাবে তাঁরা সুস্থ হচ্ছেন না। সুচিকিৎসা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আগামী শনিবার থেকে প্রতিদিন পঙ্গু হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মাদ্রাসা ছাত্র মো. রাফি হোসাইন বলেন, ১৮ জুলাই শ্যামলী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করা গুলির স্প্লিন্টার তাঁর ডান পায়ে লাগে। পরে ৫ আগস্ট সরকার পতনের আন্দোলনে মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করা গুলি তাঁর দু হাতে লাগে। তাঁর দুই হাতেই ২৫০ স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে। এরপর থেকে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্প্লিন্টারের অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে তাঁর দিন কাটছে। চিকিৎসকেরা ব্যথানাশক ট্যাবলেট দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আর কত দিন ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন-এই প্রশ্ন রাখেন।
রাফি বলেন, সুচিকিৎসার দাবিতে আগামী শনিবার থেকে তাঁরা প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক মো. আবুল কেনান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন। পরে কথা বলবেন।