বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার খাগড়াছড়ি টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিভিত্তিক আয়োজন ‘হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫’। স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তিজ্ঞান বিকাশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারের লক্ষ্যে এ কার্নিভ্যালের আয়োজন করে এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট।

দিনব্যাপী এ আয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণ ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল কর্তৃপক্ষ।

হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যালে ভাষাশহীদদের সম্মানে এডুলাইফ কোডিং স্টার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আহনাফ রহমান সরাসরি কোডিংয়ের মাধ্যমে শহীদ মিনার প্রদর্শন করে, যা উপস্থিত প্রোগ্রামার ও দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেয়।

আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও এডুলাইফ আইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো.

আমির হোসেন বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের তরুণদের জন্য এ আয়োজন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে এখানকার তরুণেরা যেন নিজেদের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্যানেল আলোচনায় তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং, উদ্যোক্তাদের মান উন্নয়ন ও ক্যারিয়ার গঠনে দিকনির্দেশনা দেন জায়ান্ট মার্কেটার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ ভূঁইয়া, লার্ন উইথ সুমিতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমিত সাহা, লার্ন উইথ রাব্বিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাব্বিল হাসান, ব্যাকস্পেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল রহমান, স্কিলআপারের প্রধান প্রশিক্ষক শামিম হোসেনসহ অনেকে।

হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যালে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও রামগড় সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো.শহীদুল ইসলাম, মনজিলা সুলতানা প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসি বাংলোর পুকুরে মিললো শতাধিক বস্তা ব্যালট

নাটোর শহরের পুরাতন ডিসি বাংলোর পাশে পুকুরে অস্ত্র খুজতে গিয়ে বাংলোর ভেতরে পুঁতে রাখা শতাধিক বস্তা ব্যবহৃত ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে এসব ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। 

নাটোর জেলা প্রশাসনের মেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. রাশেদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘বস্তা ভর্তি ব্যালট পেপার পুঁতে রাখার ঘটনার খবর পেয়ে পুরাতন ডিসি বাংলোতে আসি। সেখানে মাটি খুঁড়ে শতাধিক বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধার করি।’

তিনি আরও জানান, এই ব্যালট পেপারগুলো গত সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ৬ মাস পর্যন্ত এই ব্যালট পেপারগুলো ট্রেজারিতে জমা থাকে। পরবর্তীতে কোনো মামলা মোকাদ্দমা না হলে ব্যালটগুলো ধ্বংস করা বা অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। এরই অংশ হিসেবে ট্রেজারিতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় পুরাতন ডিসি বাংলোর পরিত্যাক্ত ভবনে রাখা হয়। কিন্তু কে বা কারা এই ব্যালট বাক্সগুলো সেই গুদাম থেকে বের করে মাটি পুতে রাখে।

সেখানে কোনো প্রহরা ছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এনডিসি জানান, সেখানে একজন নাইটগার্ড আছে। কিন্তু তাকে এ বিষয়ে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

গতকাল ডিসি বাংলোর পাশের পুকুর থেকে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এরসঙ্গে কোনো জোগসাজশ আছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমি ঠিক জানি না- এর সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এদিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, ডিসি ডাক বাংলোর পাশের তালাব পুকুর থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পানি সেচ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার বড়শি ফেলে মাছ ধরার সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটা শটগানসহ ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ