Prothomalo:
2025-02-23@18:00:56 GMT

আইসিএসবির নবম সমাবর্তন

Published: 23rd, February 2025 GMT

১৯ ফেব্রুয়ারি বনানীর শেরাটন ঢাকা হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত হলো ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশের (আইসিএসবি) নবম সমাবর্তন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.

আবদুর রহিম খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান এ আয়োজনে সমাবর্তন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিএসবির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এম নুরুল আলম এফসিএস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘করপোরেট খাতে ও সরকারি পর্যায়ে চার্টার্ড সেক্রেটারিদের কাজ করার অমিত সম্ভাবনা আছে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

আরও পড়ুন৮ মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে জাপানে চাকরির সুযোগ৭ ঘণ্টা আগে

বিশেষ অতিথি আহসান এইচ মনসুর তাঁর বক্তব্যে সমাবর্তন দিবসকে স্নাতকদের জীবনের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতোই বাংলাদেশেও করপোরেট সুশাসনের জন্য এখনো আদর্শ পরিবেশ গড়ে ওঠেনি, যার অন্যতম প্রধান কারণ কর্মক্ষেত্রে সুশাসনের অভাব।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে নবীন চার্টার্ড সেক্রেটারিরা দেশে করপোরেট সুশাসন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

সমাবর্তন বক্তৃতায় কর্মজীবন ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখার পরামর্শ দেন নিয়াজ আহমেদ খান।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাতিসংঘ মহাসচিব মার্চের মাঝামাঝি ঢাকা সফর করবেন

জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপ বলেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন এবং কক্সবাজারের শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের দূত এই তথ্য প্রকাশ করেন। খবর বাসসের

বৈঠককালে তারা রোহিঙ্গা সংকট, এর সমাধানের নতুন উপায় অনুসন্ধান এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শিবিরে বসবাসরত দশ লক্ষেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য নতুন দাতাদের সম্পৃক্ত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ চলতি বছরের শেষের দিকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে। তিনি এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী জুলি বিশপকে এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় মুখ্য ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।’ মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ড যৌথভাবে এ সম্মেলনের সহযোগী হতে সম্মত হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত রাখাইন রাজ্যে মানবিক সংকট লাঘব করতে এবং মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা নতুন শরণার্থীদের আগমন রোধে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের সহায়তা কামনা করেন।

বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির নতুন দিকনির্দেশনার প্রেক্ষিতে অনিশ্চয়তার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও দাতা সংগ্রহের বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

বিশপ রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে ব্যাপভাবে সফল করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এ সম্মেলনটি দশকব্যাপী সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ