পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদের ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সামনে প্রার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।

প্রার্থীরা বলেন, ‘গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের দাবি, হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করে দ্রুত মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে হবে। শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ফল প্রকাশ করতে হবে এবং চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১৮ মাস প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।’

প্রার্থীরা আরও বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর কর্তৃক শর্ত প্রদান করা হয়েছিল, ‘চূড়ান্ত কৃতকার্য প্রার্থীদের যোগদানের পূর্বে সিভিল সার্জন কর্তৃক শারীরিক সুস্থতা, গর্ভবর্তী নয় এই মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে। গর্ভবতী হলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে।’ তাঁরা বলেন, ‘শুধু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির এই অমানবিক শর্তের কারণে প্রার্থীরা দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর মাতৃত্ব গ্রহণ করেননি। এ ছাড়া এই পাঁচ বছরে অধিকাংশ প্রার্থীরই সরকারি চাকুরির বয়স শেষ হয়েছে। এত ত্যাগ স্বীকার করার পরও আমাদের চাকরি না দেওয়াটা অন্যায়।’

পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ২০২০ সালের ১০ মার্চ। তিন বছর পর সারা দেশব্যাপী একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৭ হাজার ৬২১ জন প্রার্থী। এরপর তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পর চূড়ান্ত ফল না দিয়ে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে ৩ মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম খ ক পর ক ষ পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের গাজায় পাশবিক হামলা ও নিরীহ গাজাবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে শুক্রবার (২৮ মার্চ) বাদ জুমআ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে বিক্ষোভকারীরা ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, জায়োনবাদ নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, আজ সারা বিশ্বের মুসলিমরা যেখানে রমজান, ইফতার, সাহরি করছে সেখানে ফিলিস্তিনের শিশু-নারীরা লাশের মিছিলে শরিক হচ্ছে। বিনা নোটিশে ইসরায়েল আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের ওপর হামলা করছে। তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করে যাচ্ছে। বক্তারা ইহুদীবাদী সেনাদের এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং তাদের এই নৃশংস অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করতে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, আজ রমজানের শেষ শুক্রবার, আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস। মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস দখলমুক্ত করার আন্দোলনে বিশ্ব মানবতাকে উজ্জীবিত করার প্রতীকী দিন এটি।

বিশ্বজুড়ে দিনটি এমন এক সময় পালিত হতে যাচ্ছে যখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলা অব্যাহত রয়েছে।

সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে পুনরায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। নতুন করে শুরু হওয়া এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১,৩৬৭ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে গাজায় শহীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০,০৮২ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১,১৩,৪০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসন পুনরায় শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।

বক্তারা বলেন, ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর ইমাম খোমেনি (র) ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস পালনের আহ্বান জানান। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি দখলদার ইহুদীবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে সংগ্রামের পতাকা উড্ডীন করেন এবং কুদস শরীফ ও ফিলিস্তিনের ইসলামি ও পবিত্র ভূমির মুক্তির বিস্মৃত লক্ষ্য ও আদর্শকে পুনরুজ্জীবিত করেন। ইমাম খোমেইনী (র.) এর পক্ষ থেকে রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে আল কুদস দিবস নামকরণ ছিল একটি বৃহৎ বুদ্ধিবৃক্তিক ও গঠনমূলক রাজনৈতিক উদ্যোগ যা ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের গতিপথকে পাল্টে দেয় এবং এই পথটিকে আরো আলোকিত ও মসৃণ করে তোলে।

বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আল কুদস কমিটি বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা তারিকুল হাসান।

ঢাকা/হাসান/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কয়রায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, বহিষ্কার দাবি
  • ভুমিদস্যু বাবলার প্রতিহিংসার শিকার সাংবাদিক রবিন
  • মাদ্রাসার জমিতে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ
  • ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ