Risingbd:
2025-04-18@13:06:53 GMT

সাকিবের ‘ইউটার্ন’

Published: 23rd, February 2025 GMT

সাকিবের ‘ইউটার্ন’

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলবেন এরকম সরগোল তুলে দলবদলের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করে ফেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব থেকে তাকে লুফে নেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। কিন্তু আলোচনা থেকেই যাচ্ছিল, মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানায় থাকা সাকিব কি দেশে ফিরবেন?

২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই বাস্তবতার মুখোমুখি সাকিব। নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে জানিয়ে দিয়েছেন, তার দলবদল স্থগিত করতে। গতকাল অনলাইনে দলবদল করে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। এখন পুরো প্রক্রিয়া বাতিল করতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ চিঠি দিয়েছে ঢাকা লিগের আয়োজক সিসিডিমকে।

দলটির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টিটু মিরপুরে গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘সাকিব আল হাসানকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে খেলানোর জন্য দলবদল প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে সাকিবের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি আমাদের অনুরোধ করেছেন তার দলবদলটা স্থগিত রাখার জন্য। সিসিডিএমকে আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি। সাকিবের অনুরোধের প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান বজায় রেখে তার আবেদনটা আমাদের ক্লাব থেকে সিসিডিএমকে জানিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেছেন, যখনই দেশে আসতে পারেন.

.. আপনারা জানেন, তিনি বর্তমানে দেশে আসতে পারছেন না। তিনি দেশে যখন আসবেন, আমরা চেষ্টা করবো, গতবার তিনি যে দলে ছিলেন, সেই দলের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে তিনি যদি আমাদের দলে তখন খেলতে চান, তাকে আমরা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে দলভূক্ত করব।’’

আরো পড়ুন:

সাকিবকে দলে ভিড়িয়ে আলোচনায় রূপগঞ্জ

‘যারা আছে তারা যোগ্য’- সাকিবের না থাকার মন্তব্যে লিপু

ক্ষমতার পালাবদলের পর সাকিবের দেশে ফেরা এবং খেলায় অংশ নেওয়ার পদক্ষেপ তৃতীয়বারের মতো আটকে গেল। প্রথমবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে নিজের শেষ ম্যাচ মিরপুরে খেলতে চেয়েছিলেন। এজন্য দুবাই পর্যন্ত চলেও এসেছিলেন। কিন্তু সরকার থেকে অনুমতি না পাওয়ায় তার দেশে ফেরা হয়নি। এরপর বিপিএলেও খেলতে পারেননি চিটাগং কিংসের হয়ে। এবারও তার ফেরা আটকে গেল।

রাজনৈতিক কারণে তার খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। যদিও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্ণধার লুৎফর রহমান বাদল বলেছিলেন, ‘‘আমরা রাজনীতিবিদ সাকিবকে নেইনি। খেলোয়াড় সাকিবকে নিয়েছি। ও যদি খেলতে না পারে তাহলে ওকে আমরা নেব কেন?’’ কিন্তু একদিন না যেতেই সাকিবকে পাওয়ার সব আশায় গুড়েবালি।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসিবুল ইসলামের মরদেহ গভীর রাতে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় বাংলাদেশের বিজিবি ও পুলিশের কাছে মরদেহ তুলে দেয় বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৮টায় ভারতের কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাসিবুল।

ওইদিন দুপুরের দিকে তাকে গুলি করে বিএসএফ। পরদিন বৃহস্পতিবার ভারতের কোচবিহারের হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১২টার দিকে হাসিবুলের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৮১ নম্বর কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থানার সীমান্ত ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটপ্রামের খারিজা জোংড়া সীমান্তবর্তী স্থান দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মহেশমারী ক্যাম্পের কমান্ডার রাজ কুমার, শীতলকুচি থানার ওসি ও বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারিজা জোংড়া ক্যাম্পের প্রতিনিধি সুবেদার রেজাউল ইসলাম, পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজরুল ইসলাম এবং নিহত যুবকের বাবা জাহিদুল ইসলাম ও নিহতের চাচা রশিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের নিকট মরদেহটি বুঝে নেয় বিজিবি ও বাংলাদেশের পুলিশ। রাতই নিহতের বাবা ও চাচার নিকট হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

প্রসঙ্গত. গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার ৮৯৪ নম্বর প্রধান ও ৬ নম্বর উপ-পিলারের নিকটবর্তী হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী সীমান্ত এলাকায় ঘাস কাটতে যান কৃষক হাসিবুল ইসলাম। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে গুলি লেগে হাসিবুল মাটিতে পড়ে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে রাইফেলের বাট ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মেরে টেনেহিঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে হাসিবুলকে শীতলকুচি থানার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিলে সেখানে মারা যায় হাসিবুল।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুননবী জানান, ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশের পুলিশ এবং বিজিবির নিকট মরদেহ হস্তান্তর করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতই মরদেহ নিহতের বাবা এবং চাচাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। রাতেই হাসিবুলের পরিবার তার দাফন সম্পন্ন করেন।

এ ব্যাপারে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ ব্যাটালিয়ন (তিস্তা-২) এর সংশ্লিষ্ট বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ