রাজধানীতে উল্টোপথে রিকশাচালকদের যেতে প্ররোচিত করলে এবং আইনি প্রয়োগে বাধা দিলে যাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়া উল্টোপথে সরকারি যানবাহন চলাচল করলেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রোববার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীতে প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় যে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা (যা ঝুঁকিপূর্ণ) বিভিন্ন সড়কে উল্টোপথে চলাচল করে। প্রায় সব ক্ষেত্রে রিকশার যাত্রীরা রিকশাচালককে উল্টোপথে যেতে প্ররোচিত করেন। আবার ঢাকা মহানগরীর প্রধান সড়ক (যে সব সড়কে বাস চলাচল করে) ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যেখানে রিকশা চলাচলের অনুমোদন নেই সেসব সড়কেও রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়।

এক্ষেত্রেও যাত্রীরা রিকশাচালকদের অননুমোদিত সড়কে প্রবেশ করতে প্ররোচিত করেন। উল্টোপথে এবং অননুমোদিত সড়কে রিকশা চলাচলের ফলে সড়কের স্বাভাবিক যানচলাচল বিঘ্নিত হয়ে যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনুরূপভাবে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশা (সিএনজিচালিত) উল্টোপথে চলাচল করতে দেখা যায়।

উল্টোপথে চলাচলের কারণে সড়কে যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য উল্টোপথে চলাচলকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করার সময় অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যাত্রী ও চালক আইন প্রয়োগ করতে বাধা দেন। এমন পরিস্থিতিতে ফৌজদারি অপরাধ করার ফলে সংশ্লিষ্ট যাত্রী ও চালককে গ্রেপ্তারের পর আইনের হাতে সোপর্দ করতে হয়।

এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে সরকারি যানবাহন ও বিভিন্ন পেশাজীবী পরিচয় বহনকারী যানবাহন (যেমন- সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নামযুক্ত) বিভিন্ন সড়কে উল্টোপথে চলাচলপূর্বক এবং অবিবেচনাপ্রসূতভাবে সড়কে গাড়ি পার্কিং করে যানজট বৃদ্ধি করে। সম্প্রতি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উল্টোপথে চলাচলের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণের মতো ঘটনা ঘটেছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় ঢাকা মহানগরীর রিকশা যাত্রী, রিকশাচালক, মোটরসাইকেল চালক এবং সরকারি যানবাহন চালকসহ অন্য চালকদের উল্টোপথে না চলাচল করার জন্য এবং যাত্রী সাধারণকে ঝুঁকিপূর্ণ অননুমোদিত যানবাহনে ভ্রমণ না করার জন্য এবং যাত্রী সাধারণকে উল্টোপথে অননুমোদিত সড়কে চালকদের যান নিয়ে প্রবেশ করতে প্ররোচিত না করার জন্য এবং ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক সহায়তাকারী গ্রুপের সঙ্গে অযাচিতভাবে বাগবিতণ্ডা না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জোরদার করা হবে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগরী পুলিশ (ডিএমপি) সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ অনন ম দ ত চ লকদ র ব যবস থ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নিগারদের যেন রেকর্ড ভাঙা–গড়ার নেশায় পেয়েছে

ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে দারুণ ব্যাট করছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। পাকিস্তানের মেয়েদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে নিগাররা তুলেছিলেন ২৭৬ রান—আনঅফিশিয়াল ম্যাচ হওয়ায় যেটা রেকর্ড হয়নি। কীসের রেকর্ড? বাংলাদেশের মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।

তবে বাছাইপর্বে লাহোরে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নেমেই রেকর্ডটি গড়েন নিগাররা। গত বছর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫২ রানের রেকর্ড ভেঙে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল তুলেছিল ২৭১ রান। আজ সেই লাহোরেই বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে সে রেকর্ডও ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুনবিসিবিতে হঠাৎ দুদক, তিন বিষয়ে তদন্ত১ ঘণ্টা আগে

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২৭৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মেয়েদের ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই এখন সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার আজও বড় রান পেয়েছেন। ১১ চারে ৫৯ বলে ১৪০.৬৭ স্ট্রাইকরেটে করেন অপরাজিত ৮৩ রান।

আরও দুটি ফিফটি আছে বাংলাদেশের ইনিংসে। ওপেনার ফারজানা হক করেন ৮৪ বলে ৫৭ এবং শারমিনের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। থাইল্যান্ডের বিপক্ষেও বাংলাদেশের এ তিন ব্যাটার রান পেয়েছিলেন। সে ম্যাচে নিগারের ১০১ রানের পাশাপাশি শারমিন ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং ফারজানা করেন ৫৩।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল মন্থর। ১৪ রান করা ওপেনার ইশমা তানজিম ৮.৩ ওভারে যখন আউট হন, বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৩৫। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশ ইনিংসের ভিত গড়েন শারমিন ও ফারজানা। ১২৭ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন দুজন, যেখানে ফারজানার অবদান ৪৮ বলে ৪০ ও শারমিনের ৭৯ বলে ৫৭।

আরও পড়ুনর‍্যাঙ্কিংয়েও সুখবর, ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ অবস্থানে নিগার, শারমিন ও রাবেয়া২ ঘণ্টা আগে

ত্রিশতম ওভারে শারমিন আউট হওয়ার পর আট ওভারের মধ্যে ফারজানা ও সোবহানা মোস্তারিও (৯) আউট হন। ৩৭.৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ১৭৬।
এখান থেকে পঞ্চম উইকেটে রিতু মনির সঙ্গে ৩৭ এবং ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমার সঙ্গে ৪৪ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন নিগার। ২২ বলে ২৬ রান করেন ফাহিমা। ১৬টি ওয়াইড দিয়েছেন স্কটল্যান্ডের বোলাররা।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এ পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডকে ১৭৮ রানে হারানোর পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেটে জেতে নিগারের দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭৬/৬ (নিগার ৮৩*, শারমিন ৫৭, ফারজানা ৫৭, ফাহিমা ২৬; ব্রাইস ২/৫৩, র‌্যাচেল ১/৩৩, চোলে ১/৩৭, প্রিয়ানাজ ১/৩৪)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ