সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে টেস্ট ও ওয়ানডে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডেও তিন ফরম্যাটে জয়ের স্মৃতি আছে। 

গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মিত মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ দলের প্রতি সমীহ আছে কিউইদের। 

ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে রোববার নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিশেল স্যান্টনার বলেছেন, ‘আমরা তাদের বিপক্ষে অনেক খেলেছি। দু’দল সম্পর্কে একে অপরের জানা বোঝা আছে।’

এই জানা বোঝা এমন পর্যায়ে যে, বাংলাদেশের তরুণ পেস সেনসেশন নাহিদ রানার ঠিকই খোঁজ-খবর রাখেন কিউইরা। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে আলোয় আসা জাকের আলীর কথা বলতেও ভোলেননি স্যান্টনার। প্রশংসা করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ ও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহদের। 

স্যান্টনার বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব ভালো দল। আগে থেকে তাদের স্পিন বিভাগ খুব ভালো। এখন তাদের পেস আক্রমণও অনেক ভালো। তাসকিন অনেক দিন ধরেই ভালো করছেন। ফিজ কী করতে পারেন আমরা জানি। এখন তাদের দলে রানার (নাহিদ রানা) মতো পেসার আছে।’ 

বাংলাদেশকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক বলেন, ‘রিশাদ হোসেনের মতো লেগ স্পিনার পেয়েছে তারা। সাকিব না থাকলেও মেহেদীর মতো ক্রিকেটার আছে। মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দরকার পড়লে কিছু ওভার বোলিংও করতে পারবে। জাকের আলী এসেছে। তাদের ভারসাম্যপূর্ণ দল। তারা আপসেট ঘটাতে পারে। আশা করছি, সেটা আমাদের বিপক্ষে হবে না।’ 

রাওয়ালপিন্ডির উইকেট যে বড় রানের হবে ওই ধারণাও সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন স্যান্টনার, ‘উইকেট ফ্লাট হবে। বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। ২০০ রানের উইকেট নয়, ৩০০ রানের অধিক করতে হবে।’ 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাভারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭

ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে লাগা আগুনে শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় সাভারের হেমায়েতপুরের নালিয়াসুর এলাকার নায়েব আলীর একতলা বাড়ির একটি কক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- মো. সোলায়মান (১৪), সুজাত মোল্লা (২৬), মো. জিসান (২০), মোছা. হালিমা (৪২), মোছা. শিল্পী (৩৫), মোছা. আমেনা (৬০) ও মো. সজিব (৮)।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. আকাশ বলেন, বাড়ির মালিকের স্ত্রী আমেনা বেগম কক্ষ তালাবদ্ধ করে সন্ধ্যার আগে বাইরে যান। এসময় পাশের ভাড়াটিয়ারা কক্ষের ভেতর থেকে গ্যাস লিকেজ টের পেয়ে আমেনা বেগমকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে তিনি দরজা ভেঙে ফেলতে বলেন। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে হাতুড়ির আঘাতে দরজার লোহায় সৃষ্ট স্পার্ক থেকে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। এতে বিস্ফোরিত হয় গ্যাস সিলিন্ডার। এসময় আগুনে এক শিশু ও তিন নারীসহ সাতজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

এছাড়াও রোববার ভোরে আশুলিয়ার দুর্গাপুর এলাকায় সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ