পরপর চারটি ইনজেকশন প্রয়োগ, মুহূর্তেই ছটফট করে নারীর মৃত্যু
Published: 23rd, February 2025 GMT
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ঘরেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন স্ট্রোকের রোগী নাজমা বেগম (৫০)। সেখানে অসুস্থ নাজমাকে চিকিৎসার নামে দেওয়া হয় পরপর চারটি ইনজেকশন। মুহূর্তেই ছটফট করে মারা যান ওই নারী। এ ঘটনার নিহত নাজমা বেগমের সাবেক স্বামী আক্তার হোসেন (৬৫) ও ইদ্রিস চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় পুরোনো দাইয়া বাড়িতে বোনের বাসায় ছিলেন নাজমা বেগম। ইনজেকশন প্রয়োগের ফলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। এরপর গতকাল রাতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে নিহত নাজমার বর্তমান স্বামী সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় আজ সকালে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আক্তার হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার দশদনা গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের হাজীপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। গ্রেপ্তার অপর ব্যক্তি ইদ্রিস চৌধুরীর বাড়ি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম। তিনিও আগ্রাবাদ এলাকায় থাকতেন। ইদ্রিস নিজেকে পল্লিচিকিৎসক বলে দাবি করেন। নাজমাকে ইনজেকশনও দিয়েছিলেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নাজমা বেগম ২ ফেব্রুয়ারি স্ট্রোক করেন। তাঁর শরীরের ডান পাশ অবশ হয়ে পড়েছিল। পরে তাঁর স্বামী সাহাব উদ্দিন তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর চিকিৎসক নাজমা বেগমকে বাসায় নিয়ে পরবর্তী চিকিৎসা করাতে বলেন। এরপর ছাড়পত্র নিয়ে নাজমা সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় তাঁর বোনের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
গতকাল শনিবার দুপুরে নাজমার সাবেক স্বামী আক্তার হোসেন ইদ্রিস চৌধুরী নামের একজন পল্লিচিকিৎসককে নিয়ে ফৌজদারহাটের বাড়িতে যান। এরপর পল্লিচিকিৎসক নামধারী ইদ্রিস চৌধুরী তাঁকে পরপর চারটি ইনজেকশন দেন। এতে নাজমার মৃত্যু হলে স্থানীয় বাসিন্দারা আক্তার ও ইদ্রিসকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।
এসআই আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসআই আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইদ্রিস চৌধুরী নিজেকে পল্লিচিকিৎসক দাবি করলেও কোনো ধরনের সনদ দেখাতে পারেননি। ফার্মেসিতে কাজ করে তিনি চিকিৎসা করা শিখেছেন বলে দাবি করেন। সেই আলোকে তিনি নাজমা বেগমের শরীরে ইনজেকশন প্রয়োগ করেছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইনজ কশন
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে মাইক্রোবাস চাপায় নিহত ২
শেরপুর পৌর শহরে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও পথচারীকে চাপা দেয় একটি মাইক্রোবাস। এতে দুইজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে অষ্টমীতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শিশু রনি মিয়া ও গৌরব। দুজনের বাসা শেরপুর শহরেই। হতাহতরা সবাই শেরপুর শহরের নিউমার্কেটের কালার ডিজিটাল নামে একটি দোকানের মালিক এবং কর্মচারী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাস শেরপুর শহর থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে অষ্টমীতলা নামক স্থানে প্রথমে একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। পরে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এরপর আরও একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এরপর পথচারীকেও চাপা দেয়।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে শিশু রনির মৃত্যু হয় এবং আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গৌরব নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়। শুভ নামে আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসের চালক পালিয়ে যায়। পাশাপাশি মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরাও পালিয়ে যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম জানান, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএইচ