বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ভালো সাংবাদিককে যেমন সাহসী হতে হয়, তেমনি সত্যনিষ্ঠ ও নীতির প্রশ্নে আপসহীন এবং ন্যায়ের প্রশ্নে অবিচল থাকতে হয়। 

তিনি বলেন, সাংবাদিকরাই কেবল সাংবাদিকতা বাঁচাতে পারেন। আর এ জন্য দরকার ঐক্য, সত্যবাদিতা, ন্যায্যতা, সততা, স্বাধীনতা এবং জবাবদিহিতা।

রোববার সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের চার যুগপূর্তির উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। এ পেশার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা। মানুষের কথা বলা। মানুষের সমস্যা, সমাজের নানা অসঙ্গতি অনিয়ম অবিচার তুলে ধরা। রাজধানী ঢাকার মতো মফস্বলেও এ পেশায় আত্মনিয়োগ করে সাংবাদিকরা জনসেবা ও সমাজকল্যাণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কিছু পাওয়ার জন্য নয়, নিতান্ত ভালোবাসা ও জনসেবার মহৎ উদ্দেশ্য থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এ পেশায় আসেন একজন প্রকৃত সাংবাদিক। 

তিনি বলেন, সাংবাদিকের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা। সে জন্য গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। এই দর্পণে প্রতিবিম্বিত হয় সমাজের প্রতিচিত্র। অন্যায়, অনিয়ম, নিগ্রহ, শোষণ-বঞ্চনা ও অধিকার হরণের বিরুদ্ধে একজন সাংবাদিককে সোচ্চার থাকতে হয় সবসময়। চোখ রাঙানোকে তোয়াক্কা না করে নির্ভীক ও নিরলসভাবে কাজ করতে হয়।  অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যে তাদের দিন যায়। ক্ষমতাধরদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হয়। অভাব অনটনের ভেতর শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে হয়।  

তিনি আরও বলেন, এটা সত্য যে, সততা নীতি ও আদর্শ নিয়ে যারা সাংবাদিকতা করেন অর্থাভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। টানাপড়েনের ভেতর দিয়ে তাদের চলতে হয়। সংসার চালানো তাদের জন্য বড় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। দারিদ্রের ঘেরাটোপে বন্দি থেকে তাদের জীবন কাটাতে হয়।

ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব বলেন, ব্যতিক্রম চিত্রও আমরা দেখতে পাই। অযোগ্য অর্বাচীন কিছু মানুষের পদচারণায় কলঙ্কিত হতে দেখা যায় বাংলাদেশের সাংবাদিকতার গৌরবময় জগৎ। কোনো মহৎ উদ্দেশ্য থেকে নয় অর্থ লিপ্সুতা থেকে এবং সমাজে প্রভাব তৈরি করার ইচ্ছে থেকে অনেকে এ পেশার সঙ্গে যুক্ত হন। ভুঁইফোড় সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা নানা ধান্দাবাজি করে।  বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে সংবাদ পরিবেশনের হুমকি দেয়। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দেদারসে অর্থ আদায় করে। খুব অল্পসময়ের মধ্যে এরা অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে যায় এবং একই ধরনের কিছুসংখ্যক ব্যক্তি মিলে গড়ে তোলে সাংবাদিক সিন্ডিকেট। এদের রুখে দাঁড়াতে হবে। না হয়, সাংবাদিকদের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে।

যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.

আবদুল মজিদ, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুব, খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আনিসুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাবেক সভাপতি শহিদ জয়, সহসভাপতি বিএম আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক গালিব হাসান পিল্টু প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই বস হিসেবে আদর্শ কেন

সেটিই করুন, যা করতে ভালোবাসেন

সুন্দর পিচাইয়ের মতে, যে কাজে আপনার সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়, সেটিই বেছে নেওয়া উচিত পেশা হিসেবে। সেই কাজটা খুঁজে বের করতে একটু সময় লেগে গেলেও ক্ষতি নেই। বাস্তবতা হলো পরিবার বা সমাজের চাপে নিজের পছন্দের কাজ করতে পারেন না অনেকেই; কিন্তু যে কাজ আপনার পছন্দ নয়, সেই কাজের সামাজিক কিংবা আর্থিক মর্যাদা যত বেশিই হোক না কেন, তাতে সত্যিকার অর্থে সাফল্য পাওয়া নিঃসন্দেহে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে; বরং নিজের ভালো লাগার কাজকে পেশা হিসেবে নিতে পারলে সফল হওয়া তুলনামূলক সহজ। কর্মজীবনের আনন্দও খুঁজে পাবেন এতে। কাজকে বোঝা মনে হবে না।

আরও পড়ুনঅফিসে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, বুঝুন ১০ লক্ষণ দেখে০২ ডিসেম্বর ২০২৪নতুনকে গ্রহণ করুন সহজে

ভিন্নধারার কিছু শুরু করতে সাহস করে উঠতে পারেন না অনেকেই। কিন্তু সুন্দর পিচাই বিশ্বাস করেন, নতুন যেকোনো ভাবনাকেই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা উচিত। অপ্রচলিত বিষয় বলে কোনো কিছুকে শুরুতেই নাকচ করে দেওয়া ঠিক নয়।

শিখতে থাকুন, বাড়তে থাকুন

ক্যারিয়ারের প্রতিটি পর্যায়েই শেখার চর্চা ধরে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন গুগলের সিইও। ক্যারিয়ারের কোনো পর্যায়েই একজন ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে ওঠার পালা কিন্তু শেষ হয়ে যায় না। মানুষ হিসেবে নিজের সেরা ভার্সন হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা আপনার ক্যারিয়ারের জন্যও ইতিবাচক।

আরও পড়ুনআদর্শ বস কর্মীদের যে ৫টি কথা প্রতিদিন বলেন২৫ মার্চ ২০২৪চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন

জীবনে বড় কিছু করতে হলে চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে আপনাকে। ঝড়ঝাপটা সামলে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। নিজের কমফোর্ট জোন বা স্বস্তির জায়গায় পড়ে থাকলে কিন্তু উন্নতি করা কঠিন। সুন্দর পিচাইয়ের ক্যারিয়ার থেকে আপনি তা অনায়াসেই অনুধাবন করবেন। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং নতুন কিছু উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্ব দেন সুন্দর পিচাই।

নেতৃত্ব দিন সমমর্মী হয়ে

নেতৃত্ব মানে কেবল কর্তৃত্বই নয়; বরং অধীনদের মতামত গ্রহণ করার মানসিকতা এবং তাঁদের ভাবনাগুলোকে তাঁদের জায়গা থেকে বিবেচনার চেষ্টা করাই একজন ভালো দলনেতার বৈশিষ্ট্য। সুন্দর পিচাই তাঁর নম্র কিন্তু কার্যকর নেতৃত্বের জন্য জনপ্রিয়।

সূত্র: এমএসএন

আরও পড়ুনবিখ্যাত মনোবিজ্ঞানীর মতে, অফিসের যে ৪টি নিয়ম বাতিল করার এখনই সময় ০৬ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চান্দিনায় এনজিও কর্মী নারীকে নগ্ন করে নির্যাতনের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
  • টেস্ট ড্রাইভের কথা বলে গাড়ি ছিনতাই, বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
  • সন্‌জীদা খাতুন—শ্রদ্ধা ও সমীহের সঙ্গে উচ্চারিত একটি নাম
  • কাজ শেষ করতে পারেনি স্বাস্থ্যের সংস্কার কমিশন
  • অস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি নির্মাতার ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা-গ্রেপ্তার
  • ছাত্রদল সভাপতি হওয়ার পর ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি
  • রাতে শুনি ‘গেম ওভার’, সকালে শুনি কী
  • নওগাঁয় পিকআপ-ট্রাক্টর সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের
  • গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস নেতা ও তার স্ত্রী নিহত
  • গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই বস হিসেবে আদর্শ কেন