ডিসেম্বর সামনে রেখে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি: আনোয়ারুল ইসলাম সরকার
Published: 23rd, February 2025 GMT
আগামী ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। আজ রোববার দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষণা করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সরকারের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে বড়জোর মাসখানেক পেছানো হতে পারে।
গত ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অল্প সংস্কার করে নির্বাচন চাইলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে, আর আরেকটু বেশি সংস্কার করে নির্বাচন চাইলে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। এটি উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুটি সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে। ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই আমরা যাতে তফসিল ঘোষণা করতে পারি, সে প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রস্তাবিত আইন সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যের প্রশ্ন আছে। ঐকমত্য হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির জন্য সময় লাগবে। যদি আগামীকাল ঐকমত্যের ফলাফল এসে যায়, তাহলে একধরনের সময় ইসি পাবে। আর যদি একটু বিলম্ব হয়, তাহলে সময় একটু কমে আসবে। সবকিছু মিলিয়ে ইসি একটি যৌক্তিক সময়ের ভেতর তফসিল ঘোষণা করতে পারবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
তফসিল নিয়ে কোনো ধরনের চাপ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ইসির ওপর কোনো চাপ নেই। তাঁরা চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান না করার কোনো সুযোগ নেই। এটি করতেই হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড স ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ঐকমত্য করব: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের যে হত্যাকাণ্ড হলো, যে বর্বরতা হলো, এর সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। আমাদের সীমিত সময়ে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব মানুষকে এই বিচারের কিছু রায় দেওয়ার। যদি মানুষ হিসেবে এটি করতে পারি, সত্যিই এই বর্বরতার একটা বিচার হবে, জনগণের মধ্যে যেন ওই আস্থা আসে।’
আজ বুধবার মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, একটি সরকারের জন্য গতানুগতিক যেসব চ্যালেঞ্জ থাকে, সেগুলো রয়েছে। এখন একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়া। সেটি অবশ্যই একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করে দেওয়া। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা।
আরও পড়ুনজাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধান উপদেষ্টার৩৭ মিনিট আগেঐকমত্য কতটা হবে বলে প্রত্যাশা করেন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রত্যাশা হলো, জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা ঐকমত্য করব। কিন্তু একেকজন মানুষ একেকটা বিষয় একেকভাবে দেখে। দৃষ্টিভঙ্গি একেকভাবে আনে। সেই দৃষ্টিভঙ্গির যে তফাতগুলো আছে, সেগুলোকে কমিয়ে কমিয়ে একটা জায়গায় নিয়ে আসা, সেটা একটু সময় লাগবে।’
রাজনৈতিক দলগুলো সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকেই প্রধান্য দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘তারা তো আরও অনেক বেশি অভিজ্ঞ আমাদের অনেকের চেয়ে। ফলে আমি মনে করি জনগণকে আস্থায় যদি আনতে হয়, তাহলে যে সংস্কারগুলোর দাবি জনগণের ক্ষেত্রে ওঠে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর কোনো উপায় নেই।’