নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা হাসপাতালে ভর্তি
Published: 23rd, February 2025 GMT
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার জিরাবোতে নিজ বাড়িতে ডাকাতের হামলায় আহত হয়েছেন অভিনয়শিল্পী আজিজুর রহমান আজাদ। আজ রোববার ভোরে বাড়িতে ডাকাতের উপস্থিতি টের পেলে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর আজাদকে উদ্দেশ্য করে গুলি করে ডাকাতেরা। এ সময় আজাদের পায়ে তিনটি গুলি লাগে। ডাকাতের আক্রমণে আজাদের মা ও স্ত্রীও আহত হয়েছেন। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন আজাদের নিকটাত্মীয় ও চলচ্চিত্র পরিচালক তপু খান।
আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় তপু খান বলেন, ‘আজাদের পায়ে গুলি লেগে মাংসপেশি ছিঁড়ে গেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ভোরে হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে তাঁর এমআরআই করা হয়েছে। আগের চেয়ে কিছুটা ভালো।’
তপু খান জানান, আজাদের পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে তিনি জানতে পেরেছেন, দুজন ডাকাত রাতে অস্ত্র নিয়ে এসে তাঁদের বাসায় হামলা চালায়। ঘরে ভাঙচুর করা হয়। ডাকাতের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর চিৎকার করলে ডাকাতেরা গুলি করে পালিয়ে যায়। দুজন ডাকাত বাসায় হামলা করলেও বাড়ির বাইরে আরও কয়েকজন ছিল বলে জেনেছেন তাঁরা।
২০১৬ সালে তপু খানের ‘প্রাক্তন’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে পথচলা শুরু আজাদের। এরপর গত ৯ বছরে দুই শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন আজাদ। চরিত্রাভিনেতা হিসেবে বিভিন্ন নাটকে দেখা যায় অভিনেতা আজাদকে।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার শিকার দিতি–সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫তপু খান, কাজল আরেফিন অমি থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন নির্মাতার দুই শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। বিজ্ঞাপন চিত্রেও নিয়মিত কাজ করেন আজাদ। ‘হোটেল রিলাক্স’, ‘ফিমেল’, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এর মতো জনপ্রিয় সব কনটেন্টেও দেখা গেছে আজাদকে।
অভিনয়শিল্পী আজাদের আহত হওয়ার খবর শুনে পরিচালক কাজল আরেফিন অমি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমরা নিরাপত্তা চাই। আল্লাহ রহম করো। দেশে শান্তি দরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ, আপনারা দয়া করে জাগ্রত হন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন ন আজ দ আজ দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।