এবার এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন।

এ নিয়ে তিন দফায় সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা ১৬ হাজার কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করে দুদক। দুদক আদালতকে জানিয়েছে, এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন।

দুদক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে আত্মসাৎ করা অর্থ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা হস্তান্তর বা রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। যদি তাঁরা এই অর্থ হস্তান্তর করতে পারেন, তাহলে ওই টাকা উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে।

আদালত শুনানি নিয়ে সাইফুল আলম, তাঁর পরিবার ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ২২৭টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।

এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৪২টি কোম্পানিতে তাঁদের নামে থাকা ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখের বেশি শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য সাড়ে ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ২৪টি কোম্পানিতে তাঁদের নামে থাকা ৩২ কোটি ১০ লাখের বেশি শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।

এর আগে ১৪ জানুয়ারি মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা জমি, ফ্ল্যাট, প্লট, ভবনসহ ২০০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া গত ১৯ ডিসেম্বর মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।

দুদকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।

গত ৭ অক্টোবর মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এস আলম গ র প র

এছাড়াও পড়ুন:

এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে বিবেচনা করে তার ওপর কর আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করার পর মঙ্গলবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে এ হুমকি দিয়েছেন। 

ট্রাম্প বলেছেন, “হার্ভার্ড যদি রাজনৈতিক, আদর্শিক ও সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রেরণা/সমর্থনমূলক ‘অসুস্থতা?’ প্রচার করতে থাকে, তাহলে তার করমুক্তির মর্যাদা হারানো উচিত এবং রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে কর আরোপের আওতায় আনা উচিত। মনে রাখবেন, করমুক্তির মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে জনস্বার্থে কাজ করার উপর নির্ভরশীল!” 

ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবেলা করতে গত সপ্তাহে হার্ভার্ডকে এক গুচ্ছ দাবির একটি তালিকা পাঠানোর কথা জানিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। এর মধ্যে হার্ভার্ডের বৈচিত্র্য, ন্যায্যতা এবং অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচি বাতিল করা, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে মুখোশ নিষিদ্ধ করা, যোগ্যতা-ভিত্তিক নিয়োগ ও ভর্তি সংস্কার এবং অনুষদ ও প্রশাসকদের বৃত্তির চেয়ে সক্রিয়তার প্রতি বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার ক্ষমতা হ্রাস করার মতো বিষয়গুলো ছিল।

তবে সোমবার প্রশাসনের এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে হার্ভার্ড বলেছে, হোয়াইট হাউজ তাদের ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার চেষ্টা করেছে। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বড় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নীতি পরিবর্তনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের চাপকে প্রত্যাখ্যান করলো।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ