এস আলম ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা আরও ৮ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 23rd, February 2025 GMT
এবার এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন।
এ নিয়ে তিন দফায় সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির নামে থাকা ১৬ হাজার কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করে দুদক। দুদক আদালতকে জানিয়েছে, এস আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন।
দুদক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে আত্মসাৎ করা অর্থ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা হস্তান্তর বা রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। যদি তাঁরা এই অর্থ হস্তান্তর করতে পারেন, তাহলে ওই টাকা উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে।
আদালত শুনানি নিয়ে সাইফুল আলম, তাঁর পরিবার ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ২২৭টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে থাকা শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৪২টি কোম্পানিতে তাঁদের নামে থাকা ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখের বেশি শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য সাড়ে ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ২৪টি কোম্পানিতে তাঁদের নামে থাকা ৩২ কোটি ১০ লাখের বেশি শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা জমি, ফ্ল্যাট, প্লট, ভবনসহ ২০০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া গত ১৯ ডিসেম্বর মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।
গত ৭ অক্টোবর মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এস আলম গ র প র
এছাড়াও পড়ুন:
গোপন গ্রুপ চ্যাটে সাংবাদিক, যুদ্ধ পরিকল্পনা ফাঁসে চাপে ট্রাম্প
ইয়েমেনের হুতিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ ‘সিগন্যাল’–এ হওয়া গ্রুপ চ্যাটের আলাপের তথ্য ফাঁস হয়েছে। বুধবার রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিক। এতে চাপে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারা প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজের পদত্যাগ দাবি করেছেন। খবর- বিবিসি
তবে ঘটনাটিকে বিগুরুত্ব দিচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ওই গ্রুপ চ্যাটে গোপনীয় কিছু ছিল না। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের দাবি, হুতিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। এতে হুমকিতে পড়েছে জাতীয় নিরাপত্তা।
ইয়েমেনে হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকার বিভিন্ন স্থাপনায় কয়েক দিন ধরে ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলার পরিকল্পনা নিয়ে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজসহ ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় আরও কিছু কর্মকর্তা সিগন্যাল অ্যাপে আলাপ করছিলেন। সেই চ্যাট গ্রুপে ভুলক্রমে দ্য আটলান্টিকের সম্পাদক সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গকেও যুক্ত করা হয়েছিল। মাইক ওয়ালৎজ ভুলবশত গোল্ডবার্গকে চ্যাট গ্রুপে যুক্ত করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার আটলান্টিকে চ্যাটের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। চ্যাটে হুতিদের ওপর হামলা নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের ১৫ মার্চের আলোচনাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটলান্টিকের দাবি, চ্যাটে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামলার সময় এবং কোনো ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হবে, তা উল্লেখ করেছেন। হুতিদের ওপর আগে যেসব হামলা চালানো হয়েছিল, সেগুলো কতটা কার্যকর ছিল, তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। চ্যাটে একটি বার্তায় হেগসেথ লিখেছেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে। মাত্র সেন্টকমকে নিশ্চিত করলাম আমরা অভিযান শুরু করতে যাচ্ছি। ১৪: ১৫: নিশানায় ড্রোনের আঘাত (এই সময়েই প্রথম বোমা ফেলা হবে)।’