পুঁজিবাজারে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সদস‌্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ মিরপুর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের (সিএসই ট্রেক নম্বর ৫০) ব্যবসায়িক কার্যক্রমে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ‌্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গঠিত পরিদর্শন কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ‌্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ বিএসইসি জারি করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা গছে, গঠিত পরিদর্শন কমিটি মিরপুর সিকিউরিটিজের স্টক-ব্রোকার এবং স্টক-ডিলারের সামগ্রিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সিকিউরিটিজ আইন মেনে চলা বা পরিপালনের সার্বিক অবস্থা এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখবে।

বিএসইসির জারি করা আদেশ ব্রোকারেজ হাউজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।

গঠিত পরিদর্শন কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম মওলা, সহকারী পরিচালক সানজিদা রহমান ও সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন।

তথ্য মতে, গত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘন করা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

বিএসইসির পরিদর্শনের আদেশ

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মনে করে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে মিরপুর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করা প্রয়োজন। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুল ১৭ এবং সিকিউরিটিজ অ‌্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১৫ ও ১৬ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন তিনজন কর্মকর্তাকে ব্রোকারেজ হাউসটির কার্যক্রম পরিদর্শন করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো। পরিদর্শন কমিটির সদস‌্যরা হলেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম মওলা, সহকারী পরিচালক সানজিদা রহমান ও সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন। পরিদর্শক কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন।

পরিদর্শন কমিটি যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে

পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে গঠিত তদন্ত কমিটি মিরপুর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের স্টক-ব্রোকার এবং স্টক-ডিলারের সামগ্রিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে। ব্রোকারেজ হাউজটির সিকিউরিটিজ আইন মেনে চলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখবে। গঠিত পরিদর্শন কর্মকর্তারা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রতিষ্ঠানটির ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া সময়ের জন্য এএমএল/সিএফটি সিস্টেম পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করব।

জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো.

আবুল কালাম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ‘‘এটা রুটিন ওয়ার্ক। ডিএসই বা বিএসইসি বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রমে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’’

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস র র ব যবস ব যবস থ ম পর চ সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুর সিকিউরিটিজের ব্যবসায়িক কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে পরিদর্শন কমিটি

পুঁজিবাজারে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সদস‌্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ মিরপুর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের (সিএসই ট্রেক নম্বর ৫০) ব্যবসায়িক কার্যক্রমে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ‌্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গঠিত পরিদর্শন কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ‌্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ বিএসইসি জারি করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা গছে, গঠিত পরিদর্শন কমিটি মিরপুর সিকিউরিটিজের স্টক-ব্রোকার এবং স্টক-ডিলারের সামগ্রিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সিকিউরিটিজ আইন মেনে চলা বা পরিপালনের সার্বিক অবস্থা এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখবে।

বিএসইসির জারি করা আদেশ ব্রোকারেজ হাউজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।

গঠিত পরিদর্শন কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম মওলা, সহকারী পরিচালক সানজিদা রহমান ও সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন।

তথ্য মতে, গত সরকারের আমলে আইন লঙ্ঘন করা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

বিএসইসির পরিদর্শনের আদেশ

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মনে করে, পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে মিরপুর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করা প্রয়োজন। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০ এর রুল ১৭ এবং সিকিউরিটিজ অ‌্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১৫ ও ১৬ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন তিনজন কর্মকর্তাকে ব্রোকারেজ হাউসটির কার্যক্রম পরিদর্শন করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো। পরিদর্শন কমিটির সদস‌্যরা হলেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম মওলা, সহকারী পরিচালক সানজিদা রহমান ও সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন। পরিদর্শক কর্মকর্তারা এই আদেশ জারির তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং পরিদর্শন প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন।

পরিদর্শন কমিটি যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে

পুঁজিবাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে গঠিত তদন্ত কমিটি মিরপুর সিকিউরিটিজ লিমিটেডের স্টক-ব্রোকার এবং স্টক-ডিলারের সামগ্রিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে। ব্রোকারেজ হাউজটির সিকিউরিটিজ আইন মেনে চলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখবে। গঠিত পরিদর্শন কর্মকর্তারা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রতিষ্ঠানটির ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া সময়ের জন্য এএমএল/সিএফটি সিস্টেম পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করব।

জানতে চাইলে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ‘‘এটা রুটিন ওয়ার্ক। ডিএসই বা বিএসইসি বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রমে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’’

সম্পর্কিত নিবন্ধ