বার্জার পেইন্টস আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর (এইও) সনদ পেয়েছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের ক্ষণ।

আমি সব সময় বলি, কমপ্লায়েন্স অর্জনের জন্য কিছু ব্যয় করতে হয়। এই ব্যয়ের পুনর্ভরণ করা যায় দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে। কারণ হলো, কমপ্লায়েন্স অর্জনের সঙ্গে উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে আমাদের ৮০ শতাংশ পণ্যের জন্য আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। ফলে আমদানি করা বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে আমাদের মূল্য সংযোজন করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় আমাদের (ব্যবসায়ীদের) লিড টাইম (উৎপাদন শুরু ও শেষের অন্তর্বর্তী সময়) গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এইওর সুবিধা আমাদের লিড টাইম কমানো, ইনভেনটরি হ্রাস ও মূলধন (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) দ্রুত কাজে লাগানোর সুযোগ দেয়। ফলে সব খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য এটি বিশেষ সুবিধা বয়ে আনবে।

আস্থা, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা একসঙ্গে কাজ করে। শুধু এনবিআর নয়, ব্যবসায়ীদেরও প্রমাণ করতে হবে, তাঁরা বিশ্বাসযোগ্য। অন্যদিকে এনবিআরকেও ব্যবসায়ীদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। শক্তিশালী কাঠামো গড়ে তুলতে উভয়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যেখানে বিশ্বাস হবে মূল ভিত্তি। এই বিশ্বাসযোগ্যতা কাজের মাধ্যমে অর্জন করতে হবে।

এ পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এইও সনদ পেয়েছে। সূচনা হিসেবে তা ভালো হলেও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখনো খুবই কম বা পর্যাপ্ত নয়। আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদেরও অনুরূপ পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

আজ যারা এইও সনদ পেয়েছে, তারা বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য দূত হিসেবে কাজ করবে। এইও অর্জনে উৎসাহিত করতে আমি চেম্বার ও ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে অবহিত করব।

এইও অর্জনের তিনটি ধাপ—পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সাধারণত দুই থেকে তিন বছর সময় লাগে। এই সময়সীমা কমানো প্রয়োজন। এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানির সব সমস্যার মূলে হচ্ছে এইচএস কোড। আমরা সরকারের কাছ থেকে কিছুই গোপন করতে চাই না। তাই এইচএস কোড–সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীদের মতামত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ব্যবসায়ীরাই সঠিক পণ্যটি চিনি এবং তার প্রয়োজনীয়তা বুঝি।

এইও সনদ শুধু সার্টিফিকেট নয়, এটি আমাদের ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। আমরা আশা করি, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ব্যবসায়িক খাতকে আরও গতিশীল ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।

বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ব যবস য আম দ র র জন য ন করত

এছাড়াও পড়ুন:

টিসিবির কার্ড নিয়ে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ, আহত ৫

টিসিবির কার্ড নিয়ে রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে একপক্ষ রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা আটকা পড়ে শত শত গাড়ি। পরে সেনা সদস্যরা এসে অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বিড়ালদহ মাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানান, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মার সমর্থক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামে কাছে টিসিবি কার্ডের ভাগ চান উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এন্তাজুল হক বাবুর সমর্থক যুবদল নেতা মিঠুন। এর জের ধরে গতকাল রফিক মেম্বারের সঙ্গে মিঠুনের মারামারি হয়। এতে রফিক মেম্বার, মিঠুন, আহসানসহ পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা রফিক ও মিঠুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এদিকে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জুম্মার সমর্থকরা। শুরু হয় দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় রফিক মেম্বারের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে তাঁর সমর্থকরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে উভয় পাশে দুই কিলোমিটারজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ ব্যর্থ হওয়ায় সেনা সদস্যরা এলে অবরোধকারীরা সড়ক ছেড়ে দেন। 

বিএনপি নেতা জুম্মা বলেন, ‘তারা রফিক মেম্বারকে মারধর করেছে। আওয়ামী লীগ আমলে এক জ্বালা ছিল। এখন অনেক জ্বালা। এরা চাঁদাবাজি করবে, মাদক ব্যবসা করবে– কিছুই বলা যাবে না। রফিক মেম্বার মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আইসিইউতে রেখে আসলাম।’ পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এন্তাজুল হক বাবু বলেন, দুপক্ষই আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমর্থক। বিষয়টি আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। পুঠিয়া থানার ওসি কবীর হোসেন জানান, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ