সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুর ‍দুইটার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার কাটাগাং নামক স্থানে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ জন।

নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওড় গ্রামের আলী আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২) ও আগফৌদ পাঁচসেউতি গ্রামের হাসান আলীর ছেলে মো.

তোফায়েল (২৪)। আহত অবস্থায় উপজেলার বিড়াখাই এলাকার জালাল আহমেদের ছেলে সাব্বির আহমেদকে (৩০) ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, একটি মোটরসাইকেলে দুই বন্ধুসহ তিনজন জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত বাজার থেকে সদরে যাচ্ছিলেন। কাটাগাং নামক স্থানে মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এবং মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থেলেই মারা যান দুই বন্ধু। ওই সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হওয়ার ধারণা করছেন স্থানীয়রা। ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে চালক দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরে হাইওয়ে থানা পুলিশের টিম স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে।

তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে দুই আরোহী মারা যান। ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে গেছে নাকি তারা সংঘর্ষের পর ছিটকে পড়ে মারা যান সে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন উপজ ল র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর আনসার

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। পার্বত্য অঞ্চলে ১৬টি আনসার ব্যাটালিয়নসহ সারাদেশে ৪২টি ব্যাটালিয়নের প্রতিটিতে ১ প্লাটুন করে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আনসার-ভিডিপি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

মঙ্গলবার আনসার বাহিনীর উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করতে বাহিনীর পক্ষ থেকে কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশের প্রায় ৫ হাজার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অন্তত্য ৫৫ হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্যকে অধিকতর সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নদীপথে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৬ মার্চ থেকে ঈদ পরবর্তী সময়ে দুই দিন পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চে চারজন সাধারণ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৫ মার্চ থেকে ৮এপ্রিল পর্যন্ত রেলপথে যাত্রীদের নিরাপত্তায় ৬৫০জন সাধারণ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভিডিপি সদস্যদের সক্রিয় রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ড সংঘটিত হলে তারা দ্রুততম সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ