জার্মানিতে ভোট চলছে, জরিপ কী আভাস দিচ্ছে
Published: 23rd, February 2025 GMT
জার্মানির ২১তম সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মাথায় প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া যাবে।
গত নভেম্বরে জার্মানির তিনদলীয় জোট সরকার ভেঙে যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট সময়ের ছয় মাস আগেই জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে।
মধ্য ইউরোপের বড় দেশ জার্মানির এই নির্বাচনকে এ মুহূর্তে ইউরোপে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, ইউরোপে কট্টর জাতীয়তাবাদীদের উত্থান ঘটছে। জার্মানিতে কী হয়, সেটা দেখার বিষয়। আবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা ইউরোপীয় রাজনীতি নিয়ে নানা কথাবার্তা বলছেন, আস্ফালন করছেন। ফলে জার্মানিতে কারা ক্ষমতায় আসছে, তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
জার্মানিতে নির্বাচন হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু দলীয় কোনো মিছিল-মিটিং হয়নি। মাইকের ব্যবহার ছিল না। ছিল না পথসভা, হইহুল্লোড়। কোনো হাঙ্গামাও হয়নি।
নির্বাচন নিয়ে যা হয়েছে, তা হলো, দেশজুড়ে নির্ধারিত জায়গায় বা বিলবোর্ডে দলের ও প্রার্থীদের ছবি বা বক্তব্যসংবলিত পোস্টার এবং পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে দলীয় বিজ্ঞাপন।
জার্মানিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববারে নির্বাচন হওয়াটাই রেওয়াজ। সুতরাং, নির্বাচনের খাতিরে বাড়তি ছুটি বরাদ্দ নেই।
জার্মানির নির্বাচন আইন অনুযায়ী, নির্বাচন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হলো নির্বাচনী প্রশাসনের। এই প্রশাসন ভোটারদের বাড়িতে ছয় সপ্তাহ আগেই নির্বাচনী এলাকার নাম, ভোটকেন্দ্রের ঠিকানা, ভোট দেওয়ার সময়সহ কার্ড পাঠিয়ে দেয়।
জরিপ বলছে, এবারও কোনো একক দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জার্মানিতে আবার জোট সরকার হতে যাচ্ছে।নির্বাচনে সহায়তার জন্য এই প্রশাসন জার্মানিজুড়ে ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়েছে। অবৈতনিক বা নামমাত্র সম্মানীপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবীরা নির্বাচনের দিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোটাররা তাঁদের কাছে পাঠানো নির্বাচনী কার্ড ও পরিচয়পত্র নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবীদের দেখিয়ে ভোট দিতে পারছেন। ভোটাররা প্রত্যেকে দুটি ভোট দিতে পারবেন। একটি ভোট প্রার্থীকে, অপরটি দলকে।
জার্মানির নির্বাচন ঘিরে রাস্তার ধারে নানা দলের পোস্টার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু পার হলো ৯১৬১ মোটরসাইকেল
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কম। ফলে, এবার ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী মানুষদের ঈদযাত্রা বেশ স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত যমুনা সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা৷
এ সময়ে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে ৯ হাজার ১৬৩টি, ছোট যানবাহন ১৭ হাজার ২৭১টি, গণপরিবহন ১২ হাজার ৬৭৫টি এবং ট্রাক পারাপার হয়েছে ৯ হাজার ২২৬টি।
এদিকে, গণপরিবহন সংকটের কারণে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের অনেকে খোলা ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে সওয়ার হয়েছেন। ঝুঁকি থাকলেও বাধ্য হয়ে এভাবে যেতে হচ্ছে তাদের। তবে, বরাবরের মতোই বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে সেতু-পূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কের সার্ভিস লেন খুলে দেওয়ায় চার লেনের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে, যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কে গণপরিবহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে। কোথাও যানজট বা চাপ নেই।
ঢাকা/কাওছার/রফিক