সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় বিএনপির সহযোগী দুটি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার মধ্যনগর বাজার ও আশপাশের এলাকা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং করে জানানো হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

সজীব রহমান বলেন, উপজেলার মধ্যনগর বাজার ও আশপাশের এলাকায় শুক্রবার রাতে ১৪৪ ধারা জারি করায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। গতকাল রাতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করায় পুলিশকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল রায় প্রথম আলোকে বলেন, মধ্যনগর থানার ওসি জানিয়েছেন বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা না থাকায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুনসুনামগঞ্জে ‘যুবলীগ’ নেতাকে গ্রেপ্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১৪৪ ধ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচার চান জাবি শিক্ষার্থীরা 

সারাদেশে ধর্ষণ, ছিনতাই ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে সমাবেশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা৷ 

রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে পুনরায় শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। 

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সজিব তালুকদারের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান। একইসঙ্গে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নিবিড় ভূঁইয়া বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার এবং ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাংশন করানো ও অপরাধ দমনে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ন্যায় বিচার যাতে নিশ্চিত হয়, প্রতিটি মানুষ যাতে তার অধিকার নিশ্চিতের আন্দোলন করতে পারে রাস্তা-ঘাটে নির্বিঘ্নে চলতে পারে সেটি এই সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে এই সরকার জনগণের ম্যান্ডেট হারাবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, যদি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে তাকে আমরা ক্ষমতা থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামাবো। আমরা কাউকে ক্ষমতায় বসাতে আন্দোলন করিনি। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছি আমাদের যে ন্যায়বিচার, আমাদের যে নিরাপত্তা শেখ হাসিনা আমলে ঘাটতি ছিল সেটি যেন পূরণ হয়। এর জন্য অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেক আহত হয়েছে। 

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, দেশের যে চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রয়েছে সেখান থেকে বের হয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ রাখতে হবে এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে ঢাবিতে সমাবেশ
  • নির্বাচন কবে জানালেন সিইসি
  • বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবকিছুর তদন্ত হবে: দুদু 
  • দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ
  • ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচার চান জাবি শিক্ষার্থীরা 
  • সুনামগঞ্জে ‘যুবলীগ’ নেতাকে গ্রেপ্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
  • মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা জারি
  • যুবলীগ নেতার গ্রেপ্তার ঘিরে বিএনপি-যুবদলের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ১৪৪ ধারা জারি 
  • ‘বইয়ের অনুবাদ স্বত্ব কেনা মোটেও সহজ নয়’