জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দুটি ডেটলাইন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে অথবা বড় রিফর্ম হলে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এবার মৃত ভোটার ও নতুন ভোটারের সংখ্যা বাড়বে। আগামী নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা জুন নাগাদ পাওয়া যাবে।’

রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলায় ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।

নির্বাচন কমিশন সবাইকে নিয়ে ৯১, ৯৬ ও ২০০১-এর মতো নির্বাচন করতে চায় বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ.

এম.এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলোর এ বিতর্কে আমরা যেতে চাই না। আপাতত নির্বাচন কমিশনের প্রথম লক্ষ্য একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা হালনাগাদ। এখনকার তালিকায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার আছে। তাদের বাদ দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চায় নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে সবার সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।’

বর্তমান প্রশাসনে যারা আছেন তারা ৯১, ৯৬ ও ২০০১-এর নির্বাচন করেছেন মন্তব্য করে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনো অন্যায় চাপ ও অন্যায় সিদ্ধান্ত দেবে না।’

এ সময় নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিতদের আইন অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনা এবং পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

সভায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, কক্সবাজার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক, সব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দুই যুগেও যে শহীদ মিনারে ফুল দেয়নি কেউ

২০০১ সালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনারটি। দুই যুগ পার হলেও শহীদ মিনারটিতে কখনো কাউকে ফুল দিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অযত্ন আর অবহেলায় শহীদ মিনারটি নষ্ট হতে শুরু করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ধারে ছিল দুটি পুকুর। মাঝ দিয়ে ছিল উপজেলা পরিষদে যাওয়ার প্রবেশপথ। ২০০১ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুকুর দুটি ভরাট করা হয়। পরে পুকুরের জায়গায় এক পাশে স্মৃতিসৌধ আর অন্য পাশে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও দুই যুগে শহীদ মিনারটিতে কেউ ফুল দেয়নি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শহীদ মিনারটির মূল ফটক সব সময় তালাবদ্ধ থাকে। পরিষ্কার না করায় চারপাশে জমেছে ময়লার স্তূপ, মিনারটি ঢাকা পড়ছে জঙ্গলে। ধ্বসে পড়ছে মিনারের বিভিন্ন অংশ।

স্থানীয় সংবাদকর্মী মিশন আলী বলেন, ‘‘বছরের পর বছর যায়, কিন্তু এই শহীদ মিনারে কেউ ফুল দেয় না। এমনটি স্থানীয় প্রশাসনও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয় না। তাহলে সরকারি টাকা খরচ করে এটি কেন নির্মাণ করা হলো?’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে শহীদ মিনারটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। দুই যুগ পার হয়ে গেছে। এটি আসলে লজ্জার বিষয়।’’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘এই শহীদ মিনার রেখেই সবাই সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজ চত্বরে নির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। কিন্তু, এটি পড়েই আছে। কখনো কাউকে ফুল দিতে দেখিনি।’’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. দেদারুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি এখানে নতুন এসেছি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/সোহাগ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই যুগেও যে শহীদ মিনারে ফুল দেয়নি কেউ