ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে উত্তেজনা বা রোমাঞ্চ কতটা, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরও এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা বোঝাতে একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। সেটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আজ চলমান ম্যাচটি নিয়েই।

এমনিতেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার রেণু ওড়ে। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে ভেন্যু নিয়ে হয়ে যাওয়া নাটকের কারণে আজকের ম্যাচটি ঘিরে উত্তেজনা বেড়ে গেছে অনেক। এমন উত্তেজনাময় একটি ম্যাচ উপভোগ করার অধিকার তাই কেড়ে নেওয়া হয়নি পাঞ্জাবের বিভিন্ন কারাগারে থাকা আসামিদেরও।

রাওয়ালপিন্ডির কেন্দ্রীয় কারাগারসহ পাঞ্জাবের মোট ৪৪টি কারাগারে থাকা আসামিদের জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে আজকের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার। কারাগারে বসে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হওয়া ম্যাচটি যেন আসামিরা নির্বিঘ্নে দেখতে পারেন, এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শককে (কারা) নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশটির স্বরাষ্ট্রসচিব নুরুল আমিন মেনগাল।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ