ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে উত্তেজনা বা রোমাঞ্চ কতটা, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরও এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা বোঝাতে একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। সেটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আজ চলমান ম্যাচটি নিয়েই।

এমনিতেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার রেণু ওড়ে। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে ভেন্যু নিয়ে হয়ে যাওয়া নাটকের কারণে আজকের ম্যাচটি ঘিরে উত্তেজনা বেড়ে গেছে অনেক। এমন উত্তেজনাময় একটি ম্যাচ উপভোগ করার অধিকার তাই কেড়ে নেওয়া হয়নি পাঞ্জাবের বিভিন্ন কারাগারে থাকা আসামিদেরও।

রাওয়ালপিন্ডির কেন্দ্রীয় কারাগারসহ পাঞ্জাবের মোট ৪৪টি কারাগারে থাকা আসামিদের জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে আজকের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার। কারাগারে বসে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হওয়া ম্যাচটি যেন আসামিরা নির্বিঘ্নে দেখতে পারেন, এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শককে (কারা) নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশটির স্বরাষ্ট্রসচিব নুরুল আমিন মেনগাল।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটি কারাগারে কারাবন্দিদের ঈদ উদযাপন

ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনের সুযোগ সবার থাকে না; বিশেষ করে কারাগারে বন্দিদের। বিষয়টি ভেবে বন্দিদের জন্য বিশেষ আয়োজন করেছে রাঙামাটি কারা কর্তৃপক্ষ। কারাবন্দিরা যেন ঈদে নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন সেজন্য ঈদের বিশেষ নামাজ, উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা রেখেছেন কারা কর্তৃপক্ষ।  

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল সাড়ে আটটায় কারাবন্দিরা কারাগারের মধ্যেই আদায় করছেন ঈদের নামাজ। এরপর সবাই একসঙ্গে বসে ঈদের সেমাই খেয়েছেন। বন্দিদের জন্য  দুপুর ও রাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন। 

ঈদের এই বিশেষ দিনে বন্দিরা যাতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারে এ জন্য কারা কর্তৃপক্ষ স্বজনদের সুযোগ দিয়েছেন। যারা দেখা করতে এসেছেন তাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। এমন আয়োজনে খুশি স্বজনরাও।

কারাবন্দির সাথে দেখা করতে আসা স্বজন নূর মোহাম্মদ জানান, খুব সুন্দর আয়োজন করেছে এবার জেল কর্তৃপক্ষ। গত বছরও আমি এসেছিলাম আত্মীয়র সাথে দেখা করতে, কিন্তু এবারের আয়োজন ভিন্ন মনে হয়েছে। তারা আমাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করেছে। আমি আত্মীয়র সাথে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন জেলের পরিবেশ ভালো, সবাই মিলে ঈদের নামাজ শেষে সেমাই খেয়েছেন। দুপুর ও রাতে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারাগারে এ ধরনের পরিবেশ সত্যি খুব  ভালো লাগছে।

রাঙামাটি কারাগারের জেল সুপার দিদারুল আলম বলেন, ‘‘স্বজনহীন কারাবন্দিদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে কারা কর্তৃপক্ষ এমন আয়োজন করেছে। আমরা চাই জেলের বিষয়ে মানুষের গতানুগতিক যে ধারণা, সেটা পরিবর্তন হোক।’’

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কারাবন্দি ও স্বজনদের নিয়ে ভিন্ন কিছু আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন বলেই এমন আয়োজন সম্ভব হয়েছে বলে জানান দিদারুল আলম। 

শংকর//

সম্পর্কিত নিবন্ধ