জামালপুরে চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
Published: 23rd, February 2025 GMT
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার ঘটনার মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার হরিপুল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. আসাদুজ্জামান ওরফে আপেল (৩৮)। তিনি উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি দুপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো.
আজ রোববার দুপুরে জামালপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আতাউর রহমান ও তাঁর পরিবারের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আসাদুজ্জামান ও তাঁর লোকজন। আসাদুজ্জামান দা দিয়ে কুপিয়ে তাঁর ডান হাত ও ডান পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ছাড়া আসাদুজ্জামানের দায়ের আঘাতে গুরুতর আহত হন আতাউরের মা আসমা বেগম ও তাঁর স্ত্রী মুক্তা বেগম। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরই তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার হরিপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আল আমিন বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় মো. আসাদুজ্জামানকে প্রধান আসামি করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ব চ ছ ন ন কর র ঘটন ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কারের পক্ষে ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে ইসলামী আন্দোলন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সময় দিতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলটির নেতারা একাধিকবার জানিয়েছেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন মেনে নেবেন না তাঁরা। সংস্কারের পক্ষে দলটি শিগগিরই ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম।
আজ শনিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত এক সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অচিরেই মার্চ ফর ঢাকা ঘোষণা দেব। লাখ লাখ, কোটি কোটি মানুষ ঢাকায় জমায়েত করব। (আমরা জানতে চাই) কারা সংস্কারের পক্ষে আর কারা বিপক্ষে। জনগণই নির্ধারণ করবে আগে সংস্কার হবে নাকি নির্বাচন হবে।’
ভারতের ওয়াক্ফ আইনের প্রতিবাদ এবং নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। কেবলই নির্বাচন, নির্বাচন। আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন হবে। সংস্কারের বাইরে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন মানবে না। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে টেস্ট হিসেবে আমরা স্থানীয় নির্বাচন চাই। স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারলে বুঝব জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। নাহলে বুঝতে হবে, নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, ‘শুধু কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং কমিশন বাতিল করলেই হবে না; বরং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’ ভারতে ওয়াক্ফ আইন পরিবর্তন করে সে দেশে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ, ওআইসিসহ সব সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
গণমিছিল–পূর্ববর্তী এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসাইন জাফরী, সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসাইন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।