শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার
Published: 23rd, February 2025 GMT
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আবদুল জব্বারকে (৭৮) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় আজ রোববার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ফকির আবদুল জব্বার রাজবাড়ী জেলা শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াডাঙ্গা ১ নম্বর এলাকার বাসিন্দা। আজ দুপুরে রাজবাড়ী জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা সোয়া একটার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাধারণ জনগণ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনায় গত ২ অক্টোবর সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ব্র্যাক পাড়া গ্রামের ইদ্রিস ফকিরের ছেলে শাহিন ফকির বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় ৮৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার আসামি হিসেবো ফকির আবদুল জব্বারকে আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর আওয়ামী লীগ নেতা ফকির আবদুল জব্বারকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সভাপতি-সম্পাদকসহ ৯ পদে বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থীদের জয়
কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কার্যকরী কমিটির ১৭টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ৯টি পদে বিএনপি–সমর্থিত আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে সিনিয়র সহসভাপতিসহ ৬টি পদে জয় পেয়েছে জামায়াতে ইসলামী–সমর্থিত ল ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল। সহসাধারণ সম্পাদকসহ দুটি পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটায় হতাশ জামায়াত–সমর্থিত আইনজীবীরা।
গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন ও চকরিয়া আদালত ভবনে ভোট গ্রহণ চলে। রাত ১১টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ বাকের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল হুদা, মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফেরেদাউস প্রমুখ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ বাকের বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির ৯১৮ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৮৬৭ জন। ১৭টি পদে বিএনপি ও জামায়াত–সমর্থিত দুটি প্যানেলসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবার আওয়ামী লীগ–সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচনে অংশ নেননি।
১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৭ জনের কার্যকরী কমিটিতে চকরিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা চৌকি আইনজীবী সমিতি থেকে একজন করে মোট তিনজন প্রতিনিধি রাখা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কার্যকরী কমিটির ১৭টি পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪টি পদে বিএনপি-জামায়াত–সমর্থিত (যৌথ প্যানেলের) প্রার্থীরা জয় পেয়েছিলেন। অন্যদিকে সিনিয়র সহসভাপতিসহ তিনটি পদে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্যানেল সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে।
কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. তাওহীদুল আনোয়ার