রামেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি
Published: 23rd, February 2025 GMT
পাঁচদফা দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। এর ফলে হাসপাতালে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক না পেয়ে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও। দুপুরে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কলেজের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করলে একাত্মতা ঘোষণা করে তাতে তারাও অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচি ছাড়াও একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
এমবিবিএস কিংবা বিডিএস ডিগ্রি ব্যতিত কেউ নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার না করা, বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করা, স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন করা, এমটিএস ও নিন্মমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রাম মেডিকেলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
খুমেক হাসপাতালে পাঁচ দফা দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখা হবে। কর্মসূচিতে রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের আহ্বায়ক ডা.
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মদ জানান, হাসপাতালে ৬০টি ওয়ার্ড। ইন্টার্ন চিকিৎসক ২৪০ জন। তারা না থাকার কারণে মিড লেভেলের ডাক্তার ও বেসরকারি অনারারি মেডিকেল অফিসারদের দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সমস্যা তেমন হচ্ছে না।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদে দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার দাবি
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদের ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সামনে প্রার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।
প্রার্থীরা বলেন, ‘গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের দাবি, হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করে দ্রুত মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে হবে। শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ফল প্রকাশ করতে হবে এবং চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১৮ মাস প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রার্থীরা আরও বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর কর্তৃক শর্ত প্রদান করা হয়েছিল, ‘চূড়ান্ত কৃতকার্য প্রার্থীদের যোগদানের পূর্বে সিভিল সার্জন কর্তৃক শারীরিক সুস্থতা, গর্ভবর্তী নয় এই মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে। গর্ভবতী হলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে।’ তাঁরা বলেন, ‘শুধু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির এই অমানবিক শর্তের কারণে প্রার্থীরা দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর মাতৃত্ব গ্রহণ করেননি। এ ছাড়া এই পাঁচ বছরে অধিকাংশ প্রার্থীরই সরকারি চাকুরির বয়স শেষ হয়েছে। এত ত্যাগ স্বীকার করার পরও আমাদের চাকরি না দেওয়াটা অন্যায়।’
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা পদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ২০২০ সালের ১০ মার্চ। তিন বছর পর সারা দেশব্যাপী একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় সাড়ে তিন লাখ প্রার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৭ হাজার ৬২১ জন প্রার্থী। এরপর তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পর চূড়ান্ত ফল না দিয়ে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে ৭ হাজার ৬২১ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে ৩ মাসের মধ্যে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।