মায়েদের বাজনা থামলে বল কোথায়, শিশু ও বাবাদের ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ আর অতিথিদের জন্য ভাগ্য পরীক্ষাসহ নানা ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং র‍্যাফেল ড্রতে পুরস্কার পাওয়ার আনন্দে দারুণ এক উৎসবময় দিন কাটিয়েছেন ঈশ্বরদীর শতাধিক সুহৃদ ও তাদের পরিবার।


শনিবার দিনভর ঈশ্বরদীর পাকশীতে রূপপুর রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে ‘সুহৃদ উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের উদ্বোধন করেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী জামিল আখতার এলাহী।

এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন– রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মাহ্‌বুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমদাদুল হক আমান, ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, পাকশী রেলওয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা ইমরুল কায়েস পারভেজ, পাকশী বিপিএড কলেজের অধ্যক্ষ আখতার আনজাম হোসেন ডন, বিনা পয়সার পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা তাহেরুল ইসলাম, ঈশ্বরদী সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি জাহিদুল আলম সনু, আবুল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রসুল, সুহৃদ সমাবেশের সাবেক সভাপতি শেখ আমান উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান আল-আমিন, ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ।

সমকালের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি সেলিম সরদার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমন্বয় করেন স্বর্ণকলি বিদ্যাসদনের পরিচালক মনিরুল ইসলাম বাবু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন– সুহৃদ সমাবেশের সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার তৌফিক আলম সোহেল, আয়োজনের সমন্বয় করেন সাংগঠনিক সম্পাদক দুর্জয় ইসলাম, লিমন মণ্ডল ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক হাসান চৌধুরী। 


সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ঈশ্বরদী ইউনিটের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল আলীম বিশ্বাস মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল ইসলামের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন– প্রবীন নারী রেজিয়া বেগম, নারী উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক নাসরিন আক্তার শেলী, ফরিদা খাতুন মিমি, কৃষিবিদ অনুজ পারভেজ পাভেল, ব্যবসায়ী মতিউর রহমান সন্টু প্রমুখ। এ আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে ‘কলের গান’-এর পরিচালক মানিক মণ্ডলের অনবদ্য সংগীত পরিবেশনায় মুখরিত ছিল এ সুহৃদ উৎসব। দিনভর এ আনন্দ আয়োজনে সুহৃদ উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, তানজিরুল আলম মিটো, মাসুদুল আলম, দেলোয়ার হোসেন ডাবলু, পিয়ারুল ইসলাম, আলিউজ্জামান রুহেল, সুমন আলী, সুহৃদ পরিতোষ পাল, সজীবুর রহমান, হিটু খন্দকার, রাকিবুল ইসলাম রূপম, খায়রুল ইসলাম সবুজ, সাবিত হাসান মুহিমসহ অন্যরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন। বিকেলে প্রধান অতিথিসহ অন্যরা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও র‍্যাফেল ড্রতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ সিনেমা নিয়ে ‘মাতৃভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’

ভাষাশহীদদের স্মরণে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘মাতৃভাষার চলচ্চিত্র’ উৎসব। উৎসবে বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রসহ চাকমা, মারমা, ম্রো, বম, গারো, সাঁওতাল, খেয়াং ভাষায় নির্মিত ১৫টি সিনেমা দেখানো হবে। এই উৎসবের আয়োজন করেছে জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। রবি ও সোমবার ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডির ভিনটেজ কনভেনশন হলে বসবে এই উৎসব।
প্রথম দিন বেলা ৩টায় উৎসব শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ৯টায়; দ্বিতীয় দিনের উৎসব শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং রাত ৯টায় শেষ হবে। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধনীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

আলোচক থাকবেন অধ্যাপক এম এম আকাশ, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এ বি এম শামসুল হুদা, দুস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক দিবালোক সিংহ, জন-উদ্যোগ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক মুশতাক হোসেন, জহির রায়হানপুত্র অনল রায়হান এবং জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সভাপতি নাট্যজন শংকর সাওজাল। সভাপতিত্ব করবেন চলচ্চিত্র প্রযোজক মং উষা থোয়াই।

উৎসবে ‘রক্তকরবীর খোঁজে নন্দিনী’, ‘ক্লোবং ম্লা’, ‘বন্ধন’, ‘প্রেয়সী’, ‘গিরিকন্যা’, ‘ঘরে ফেরা’, ‘কালারস অব হোপ’, ‘পৈতৃক ভিটা’, ‘আধধান্যে জিঙহানি’, ‘নেকলেস’, ‘আচিক ঐকর’, ‘ছাতা’, ‘সেনাপতি দিঘী’, ‘আরও কিছুদিন’, ‘নো ল্যান্ডস টক’ নামের সিনেমাগুলো দেখানো হবে। উৎসবের সিনেমাগুলো বিনা মূল্যে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বাংলাদেশি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে আমি গর্ববোধ করি’
  • ‘তিনশর বেশি রান করার ক্ষমতা আছে শান্তদের’
  • যে ঋণ শোধ করা যায় না
  • শিল্পীদের বেঁচে থাকা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে: নুসরাত ফারিয়া
  • যদি বাঁধা দেওয়া হয়, তাহলে শিল্পীদের বেঁচে থাকা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে: নুসরাত ফারিয়া
  • ‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’ এ মুগ্ধ দর্শক
  • মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্যোৎসবে ‘দ্য ডার্ক ক্রিস্টাল’
  • ভালোবাসার গল্পের বার্লিন জয়
  • ১৫ সিনেমা নিয়ে ‘মাতৃভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’