কুবিতে কাকা সমাজের মিলনমেলা কাল
Published: 23rd, February 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা ‘কাকা সমাজ মিলনমেলা’ শীর্ষক ব্যতিক্রমী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আগামীকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রথমবারের মত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সবারই প্রত্যেকের নানা ধরনের গল্প থাকে। একই ধরনের মানুষ কিংবা একই মানসিকতার মিলনে ব্যাচগুলোর মধ্যে আলাদা সার্কেল তৈরি হয়। কোন সার্কেল ব্যস্ত থাকে পড়ালেখা নিয়ে, কোন সার্কেল সংগঠন, আবার কোন সার্কেলের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠে সমসাময়িক দেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি। আলোচনার বিষয় যাই হোক দিনশেষে গল্পটা বন্ধুত্বের, বন্ধুদের। সেসব বন্ধুত্বের প্রতি উৎসর্গ করেই ব্যতিক্রমী এ ‘কাকা সমাজ’ এর আয়োজন করা হয়েছে।
এতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের নানা গল্প তুলে ধরা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ব্যান্ড দল ‘প্ল্যাটফর্ম’ এবং ঢাকা থেকে আসা ‘ডায়িং এমবার্স’ গান পরিবেশন করবে।
‘কাকা সমাজ’ আয়োজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও আয়োজক কমিটির সদস্য উজ্জ্বল হক বলেন, “আমরা এ আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সার্কেলকে উৎসর্গ করছি। নানা সার্কেল নানা গল্প। এই নানা গল্প, নানা মানুষকে এক ছাদের নিচে অনুভব করতেই এর আয়োজন করা হচ্ছে। সবার আমন্ত্রণ রইলো। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে, আড্ডা হবে।”
অনুষ্ঠানের নাম ‘কাকা সমাজ’ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বন্ধুরা যখন একসঙ্গে আড্ডা দেই কিংবা দেখা হয়, তখন একে অপরকে মামা বা কাকা বলে সম্বোধন করি। মামা বিষয়টা খুব সাধারণ সম্বোধন হয়ে গেছে ইদানিং। তাই এ অনুষ্ঠানের নাম ‘কাকা সমাজ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে ভেবে আসছি: ফেরদৌস আরা
রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দলকে এ বছর একুশে পদক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২৫’ প্রদান করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
চার দশকের বেশি সময় ধরে নজরুল সংগীত চর্চা ও প্রসারে অসামান্য অবদানের জন্য এবং সংগীতের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন গুণী নজরুল সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা। পদকটি নিজের পিতাকে উৎসর্গ করেন শিল্পী।
পদকপ্রাপ্তির পর অনুভূতি প্রকাশ করে এদিন ফেরদৌস আরা বলেন, “শিল্পী হিসেবে আমি মনে করি, যাবতীয় কল্যাণ ও ভালোর জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম হল একটি দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি। আমি দেশপ্রেম ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা করে আসছি। বাংলাদেশের কৃষ্টি ও শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার একজন নিরলস যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে ভেবে আসছি, এবং ভাবতেও চাই। আমার এই সকল কিছুর পেছনে এবং সংগীত ভুবনে প্রবেশের জন্য যে মানুষটির অবদান আজ না বললেই নয়, তিনি হলেন আমার পিতা। ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন প্রকৌশলী এবং উচ্চাঙ্গ সংগীত বিশারদ এএইচএম আবদুল হাই। আজকে আমাকে যে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়া হলো, এটি আমি আমার বাবার উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।”
শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণিতে ৫ জনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় এই পুরস্কার পেয়েছেন ‘ছুটির ঘণ্টা’ খ্যাত নির্মাতা আজিজুর রহমান (মরণোত্তর)। এই পুরস্কারটি গ্রহণ করেন প্রয়াত আজিজুর রহমানের কন্যা আলিয়া রহমান বিন্দি।
ফেরদৌস আরা ছাড়াও এবার সংগীতে একুশে পদক পেয়েছেন উস্তাদ নীরদ বরণ চৌধুরী (মরণোত্তর)। নীরদ বরণ বড়ুয়ার মেয়ে শিল্পী ফাল্গুনী বড়ুয়া পদক গ্রহণ করেন। সশরীরে উপস্থিত হয়ে চিত্রকলা ও আলোকচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ এই পদক গ্রহণ করেন যথাক্রমে রোকেয়া সুলতানা এবং নাসির আলী মামুন।