দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গে‌লে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেছ উর রহমান।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিনিয়র সচিব এ কথা জানান।

মো. মোখলেছ উর রহমান বলেন, ‘‘যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে, যেমন- ওএসডি হয়েছে, বাধ্যতামূলক অবসর হয়েছে। আর এটা বলা হয়েছে, তারা এমন ঘৃণ্য অর্থ সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন, আমাদের কলিগদের সম্পর্কে অনেক কথা বাজারে আছে। চার কোটি, পাঁচ কোটি, ৩০ কোটি এমন আছে। আমরা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে এবং আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে যদি দেখি সত্যি সত্যি ঘটনা আছে, শুধু সেই কেসগুলো আমরা দুদকে পাঠাব।’’

তিনি বলেন, ‘‘যাদের নামে অপপ্রচার কিংবা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না, এ রকম কিছুই করেনি; সাময়িক ওএসডি হয়েছেন, তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করবেন, এটা কোনো সমস্যা নয়। এখানে সরকার বায়াসড না, সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে কাজটা করবে। যেন একজনও নিরীহ কর্মকর্তা কোনো সাজা বা অসম্মানিত না হন।’’

‘‘২০২৪ সালের ভোটের দায়িত্ব পালনকারীদের তথ্য আমরা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠিয়েছি, সেগুলো আসলে আমরা বিবেচনা করবো। আপনারা জানেন, চারজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি কমিটি আছে। সেই কমিটিতে এগুলো বিশ্লেষণ হবে। বায়াসড কিংবা কোনো কিছুর বশবর্তী হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। সব সিদ্ধান্ত হবে নিয়মনীতির মাধ্যমে হ‌বে’’ ব‌লেও জানান তি‌নি।

আওয়ামী লীগের আমলের বিতর্কিত তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সরকা‌রি কর্মকর্তা‌দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে ৬৫ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া এবং ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনয়কে বিদায় জানালেন সোহেল রানা,করবেন না সক্রিয় রাজনীতি

চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।  চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও পাওয়া গেছে তাকে। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় বলে দিলেন এই বরেণ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। জানালেন রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও আর দেখা যাবে না তাকে। 

এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন ‘১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনো বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না। 
তবে এখনো একটা সিনেমা পরিচালনা করার ইচ্ছা আছে তাঁর। মূলত বয়সের কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোহেল রানা। অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন তার বয়স ৭৯ বছর। 

অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় দেশের চলচ্চিত্রজগৎ নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগৎ তো এখন শেষ। এখন দু-চারজন যারা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের মিলছে না। যেভাবে আমাদের ব্যবহার করার কথা, তেমন উপযুক্ততা তাদের নেই। বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সের শিল্পীরা দিব্যি কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে রকম কিছু হচ্ছে না। আমাদের এখানে শিল্পীদের বয়স হয়ে গেলে শুধু বাবা-মা, চাচাদের ক্যারেক্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারফর্ম করার সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তা না হলে তো অভিনয়ের কোনো মানে হয় না। আমি সেই জায়গায় থেকেই চলে যেতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়ে আমি সরে যেতে চাচ্ছি।’

বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ করেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। সোহেল রানার অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ এর দুই বছর পর ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র মাসুদ রানা হিসেবে। 
‘মাসুদ রানা’  সিনেমাটা পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। এরপর হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায়। যদিও এক দশক ধরে সিনেমায় অনেকটা অনিয়মিত তিনি। 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবার চেক বুঝে নিতে এফডিসিতে হৃদয়
  • এবার শাটডাউনের হুঁশিয়ারি পটুয়াখালী মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসদের
  • এবার ইনজুরিতে কতদিনের জন্য ছিটকে গেলেন নেইমার? 
  • শরীরের যেমন সীমা আছে, তেমনি মনেরও ক্লান্তি আছে: সোহেল রানা
  • শরীরের যেমন সীমা আছে, তেমনি মনেরও ক্লান্তি আছে
  • অভিনয়কে বিদায় সোহেল রানার, করবেন না সক্রিয় রাজনীতি
  • অভিনয়কে বিদায় জানালেন সোহেল রানা,করবেন না সক্রিয় রাজনীতি