কুমিল্লায় আদালত চত্বরে একটি মামলার বাদীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত সুমন মিয়া হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দি এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন- একই এলাকার মতিন মিয়া (৪৮) ও সাদ্দাম হোসেন (২৯)। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকদের থানায় নিয়ে আসে।

আহত সুমনের বড় বোন ইয়াসমিন আরা জানান, গত ১৫ জানুয়ারি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনায় তাদের প্রতিবেশী মতিন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনের বাবা খালেক মিয়াসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন প্রতিপক্ষ সুমন। এই ঘটনার জেরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সুমনের বাবা দৌলত মিয়াকে আবারও পেটায় আসামিপক্ষ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ আবারও থানায় অভিযোগ করেন। এসব মামলায় রোববার আসামিরা আদালতে আইনি পরামর্শ চাইতে এলে সুমন তাদের সামনে পড়েন এবং তখনই আসামিরা তাকে বেধড়ক পেটান। এ সময় সুমন অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আদালতে উপস্থিত লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। জনতা মতিন মিয়া ও সাদ্দাম হোসেনকে ধরে পুলিশে দেয়।

কোতয়ালী থানার এস আই সালাহ উদ্দিন সমকালকে জানান, মতিন ও সাদ্দামকে  থানায় নেয়া হয়েছে। আহত সুমনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের সহকারী রেজিষ্ট্রোর গাজী আরিফুল ইসলাম ভিলিয়া জানান, সুমনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে আইসিউতে নেওয়া হয়েছে। 

কোর্ট ইন্সপেক্টর মো.

শহীদুল্লাহ জানান, এই ঘটনায়ও বাদী চাইলে আলাদা মামলা করতে পারেন। যারা সুমনকে মেরেছে তাদেরকে পুলিশ আটক করেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

কোনোভাবেই উগ্রপন্থার অবস্থান বাংলাদেশে হবে না: তথ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের উত্থানের আশঙ্কা করে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, কোনোভাবেই উগ্রপন্থার অবস্থান বাংলাদেশে হবে না। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাছুম মিয়ার কবর জিয়ারত এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুননতুন বাংলাদেশে উগ্রবাদ উত্থানের শঙ্কা, প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর বলছে সরকার১৪ ঘণ্টা আগে

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের জন্য আমরা যে কাজ করছি, সেটি যেন সাধন করে যেতে পারি এবং নির্বাচনের মাধ্যমে যথাসময়ে আমরা যাতে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ভূমিকা রাখতে পারি—এটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র চাওয়া। কোনোভাবেই উগ্রপন্থার অবস্থান বাংলাদেশে হবে না। আমরা যদি দেখি যে আলোচনা এবং সতর্কতার মাধ্যমে সমাধান হচ্ছে না, তাহলে শিগগিরই কঠোর অবস্থানে যাব। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সুযোগ অনেকেই পেয়েছেন, সুযোগের সদ্ব্যবহার না করে দুর্ব্যবহার করলে আমরা অবশ্যই হার্ডলাইনে যাব।’

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের একাংশের স্ক্রিনশট

সম্পর্কিত নিবন্ধ