দেশের সড়কগুলোতে সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ডাকাতির ঘটনা। যে কারণে হবিগঞ্জের মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার ভেতর দিয়ে যাওয়া ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কে রাত ১০টার পর দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। 

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন চুনারুঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‍“ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া থেকে চুনারুঘাট যাওয়ার রাস্তাটি জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে রাত দশটার পরে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে অটোভ্যানে বাসের ধাক্কা, নিহত ২

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত, স্বামী-শিশু সন্তান আহত

তিনি আরো বলেন, “তেলিয়াপাড়া থেকে চুনারুঘাট যাওয়ার রাস্তাটির প্রায় ১৩ কিলোমিটার। এই সড়ক পাহাড় ও চা বাগানবেষ্টিত। যে কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকে না। কেউ বিপদে পড়লেও সাহায্যের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না। এই সুযোগটাই নিচ্ছে অপরাধীরা। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা ও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া এলাকায় চেকপোস্ট থাকবে পুলিশের। কেউ চুনারুঘাট যেতে চাইলে তাকে বিকল্প রাস্তা হিসেবে বর্তমান ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে যাবার জন্য বলা হচ্ছে। ওই এলাকার স্থানীয়দের চলাচলে সহযোগিতা করবে পুলিশ।” 

ঢাকা/আজহারুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

আবু তালহার ইসলাম গ্রহণ

উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান (রা.) একজন বুদ্ধিমতী নারী সাহাবি। তিনি ইসলাম গ্রহণকারী আনসারদের মধ্যে অন্যতম এবং খ্যাতিমান সাহাবি আনাস ইবনে মালিকের (রা.) মা। আনাসের বাবা মালিক ছিলেন উম্মে সুলাইমের মুসলিম হওয়ার আগের স্বামী। উম্মে সুলাইম ও আনাস ইসলাম গ্রহণ করলে স্বামী ক্ষোভে স্ত্রী-পুত্র ত্যাগ করে চলে যান। বিধবা হয়ে পড়েন উম্মে সুলাইম (রা.)।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘একবার স্বপ্নে আমি জান্নাতে প্রবেশ করি। হঠাৎ আমার সামনে কারও জুতার আওয়াজ শুনতে পাই। আমি ফেরেশতাদের জিজ্ঞেস করলাম, কে? তারা বললেন, আনাস ইবনে মালিকের মা উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৪৫৬)

শিশু পুত্র আনাসকে নিয়ে কাটছিল তার দিন। উম্মে সুলাইম (রা.) ঠিক করলেন, আনাস বড় না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিয়ে করবেন না। আনাস যখন তার মায়ের বিয়েতে মত দেবে তখনই তিনি বিয়ে করবেন। একসময় আনাস উপযুক্ত বয়সে উপনীত হন।

আরও পড়ুনজীবনে একবার হলেও যে নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি (সা.)১৩ মার্চ ২০২৫

সে সময় আবু তালহা আল আনসারি নামে এক লোক উম্মে সুলাইমকে পছন্দ করে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু তালহা মুসলিম ছিলেন না। তাই তিনি বিয়েতে অমত করলেন। আবু তালহা বললেন, ‘তুমি অর্থকড়ি চাও? আমি তোমাকে মূল্যবান সবকিছুর বিনিময়ে বিয়ে করতে চাই।’ উন্মু সুলাইম (রা.) বললেন, ‘না, আমি তোমার মধ্যে ইসলাম চাই।’

অবশেষে আবু তালহা ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। উম্মে সুলাইমের (রা.)-এর সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং বিয়ের মোহর হয় ‘আবু তালহার ইসলাম গ্রহণ’। সাবিত (রা.) বলেছেন, উম্মে সুলাইমের বিয়ের মোহরের চেয়ে উত্তম মোহরের কথা আমরা আর শুনিনি। আবু তালহার ইসলাম গ্রহণের যুগপৎ এই সিদ্ধান্ত ও তাঁদের বিয়ে আরবে সেসময় বেশ আলোচনার সৃষ্টি করে। বলা হয়, ইসলামের ইতিহাসে এটিই ছিল বিয়েতে সবচেয়ে মূল্যবান মোহর।

উম্মে সুলাইম (রা.) যুদ্ধে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে শরিক হয়েছিলেন। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি আয়েশা (রা.) ও আমার মা উম্মে সুলাইমকে যুদ্ধের দিন মশক ভরে পানি এনে আহতদের পানি পান করাতে দেখেছি। মশক খালি হয়ে গেলে তারা আবার ভরে এনে পান করিয়েছেন।’ (সহিহ বুখারি, ২/৫৮১)

আরও পড়ুন ধৈর্য কাকে বলে১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ