ব্যবসায়ী গোষ্ঠী মো. সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হকের শেয়ার অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংগঠনের অভিযোগটি অনুসন্ধানে একটি টাস্কফোর্স টিম গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, এস আলম গ্রুপ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেছেন।

অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।

অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে বর্ণিত সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে টাকা উদ্ধারকরণ দুরূহ হয়ে পড়বে। তাই অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের ও তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে শেয়ারসমূহ এবং শেয়ারসমূহ থেকে উদ্ভূত সকল মুনাফা/আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র র অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

এস আলম পরিবারের ৮১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

ব্যবসায়ী গোষ্ঠী মো. সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হকের শেয়ার অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংগঠনের অভিযোগটি অনুসন্ধানে একটি টাস্কফোর্স টিম গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, এস আলম গ্রুপ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেছেন।

অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।

অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে বর্ণিত সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে টাকা উদ্ধারকরণ দুরূহ হয়ে পড়বে। তাই অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের ও তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে শেয়ারসমূহ এবং শেয়ারসমূহ থেকে উদ্ভূত সকল মুনাফা/আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ