পুলিশের চার ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর
Published: 23rd, February 2025 GMT
উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদের চারজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে সরকার। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অবসরপ্রাপ্ত এ কর্মকর্তারা হলেন, নৌ পুলিশের ডিআইজি আবদুল কুদ্দুস আমিন, অ্যান্টি টেররিজম বিভাগের নিশারুল আরিফ, হাইওয়ে পুলিশের আমেনা বেগম ও মো.
২০১৮ সালের চাকরি আইনের ধারা অনুযায়ী এ চারজনকে অবসর দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আবদুল বাতেন ও তাঁর স্ত্রী নূর জাহান আক্তারের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আবদুল বাতেনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ২৯ লাখ ২৪ হাজার ৭৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাঁর সাতটি ব্যাংক হিসাবে ১৩ কোটি ২২ লাখ ২৭ হাজার ৫১১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, আবদুল বাতেনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৮০৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর চারটি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৭০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই মামলায় নূর জাহানের সঙ্গে আবদুল বাতেনকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আবদুল বাতেনের স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আবদুল বাতেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহত আবু সাঈদের এলাকা রংপুরে তিনি কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ১৩ আগস্ট রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনআবু সাঈদ হত্যা: বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা১৩ আগস্ট ২০২৪