১০ বছর ধরে সকাল ও দুপুরে না খেয়ে থাকছেন শামি
Published: 23rd, February 2025 GMT
চোট কাটিয়ে দীর্ঘ ১৪ মাস পর ফিরেছেন ক্রিকেটে। প্রত্যাবর্তনটাও হয়েছি দারুণ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে মোহাম্মদ শামি নিয়েছেন ৫ উইকেট। ফেরার গল্পটা যে সহজ ছিল না, তা তো জানা কথাই।
অস্ত্রোপচারের পরের দিনগুলোতে নাকি শামির মনে হতো, নতুন করে হাঁটা শিখছেন।
এ সময়ে যে আরও অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁকে দেখে ভারতেরই সাবেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নবজ্যোত সিং সিধুরই মনে হয়েছে, ৫–৬ কেজি ওজন কমিয়েছেন। ওই কথার জবাবে স্টার স্পোর্টসে ম্যাচের পর তিনি বলেছেন, ‘আমি ৯ কেজি ওজন কমিয়েছি। সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার হচ্ছে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা। আমি যখন এনসিএতে ছিলাম, ৯০ কেজির কাছাকাছি ওজন ছিল। আমি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাইনি। মিষ্টি থেকেও দূরে থেকেছি।’
এ তো গেল চোটের সময়কার কথা—একজন ক্রিকেটারকে ফিট থাকতে যে কত কিছু করতে হয়, তার উদাহরণই হয়তো শামি। এর আগে ঘরোয়া লিগে শামির দল বাংলার বোলিং কোচ শিব সুন্দর দাস জানিয়েছিলেন, ফিট থাকতে শামি নাকি তাঁর প্রিয় বিরিয়ানি বিসর্জন দিয়েছিলেন। এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে হেসে শামি উত্তরে বলেন, ‘যদি বিরিয়ানির কথা বলেন, মাঝেমধ্যে খাওয়া তো যায়ই এ রকম কিছু! (হাসি)।’
এরপরই ক্রিকেটের জন্য কত ত্যাগ করতে হয়, তার একটা বড় উদাহরণ সামনে আনেন ভারতীয় এই পেসার, ‘২০১৫ সালের পর থেকে আমি শুধু একবেলা খাই। সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবার খাই না এতগুলো বছর ধরে। শুধু রাতে খাই। এই কাজ করা কঠিন, কিন্তু আপনি যখন একবার অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, তখন সহজ হয়ে যায়।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রেম করা আর বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখা বন্ধ করে দিসি’
ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এতদিন নাটক-টেলিফিল্মের কাজ নিয়েই অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতেন। তবে তুলনামূলক এখন কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। স্বভাবে অনেকটা— ঠোঁটকাটা। যার কারণে প্রায় সময়ই আলোচনায় থাকেন তিনি।
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে দুবাই গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। এদিন ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ৪৯.৪ ওভাবে রান করেছে মাত্র ২২৮। ভারত ৬ উইকেট হাতে রেখে সেই ম্যাচ জিতে নেয়। এ ম্যাচ দেখে ক্রিকেটপ্রেমী শবনম ফারিয়া এদিন তাই কিছুটা হতাশ হন। ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তা প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।
শবনম ফারিয়া লেখেন, “প্রেম করা আর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলা দেখা বন্ধ করে দিসি। এই দুইটা কাজ করে জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কিছু পাইনি! এইটা কোনো ফানি স্ট্যাটাস না! অনেক দুঃখের স্ট্যাটাস।”
আরো পড়ুন:
আজ মেহজাবীন-রাজীবের গায়েহলুদ
আশুলিয়ায় অভিনেতা গুলিবিদ্ধ
কেবল মজার ছলে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শবনম ফারিয়া। এ অভিনেত্রী বলেন, “মজা করে স্ট্যাটাসটি দিয়েছি। সিরিয়াস কিছু না। খেলা দেখছিলাম, দেখতে দেখতে একটা সময় মনে হলো— এই খেলা আর দেখব না। প্রতিবারই বাংলাদেশ দলের খেলার সময় এমন সিদ্ধান্ত নিই, আর খেলা দেখব না। এরপরও দেখি। বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা থাকলে আবার মন চায় দেখতে। ভাবি, দেখি না কী অবস্থা। ওই আরকি।”
ফারিয়ার স্ট্যাটাসে প্রেমের প্রসঙ্গ থাকায় তা নিয়ে আলোচনা করছেন নেটিজেনরা। এ বিষয়ে ফারিয়া বলেন, “এখন তো বয়স হয়েছে। প্রেম করার বয়সটা পার করে ফেলছি।”
ঢাকা/শান্ত